পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিলো সৌদি আরব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ২১:০৪ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২৩, ২০:২৮

ধুকতে থাকা পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব। পাক অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। আইএমএফের বৈঠকের আগেরদিন এ সহায়তা পেল দেশটি। খবর আল-জাজিরার।

অপরদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড পাকিস্তানকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৩ বিলিয়ন ডলার বেলআউটের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী রেকর্ড করা ভিডিও বিবৃতিতে সৌদি আরবের সহায়তাকে দীর্ঘদিনের মিত্রের কাছ থেকে একটি ‘মহান সংকেত’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানাই।’

দার বলেছেন, সৌদি আরব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তহবিল জমা করেছে। এমন এক সময়ে তারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে যখন পাকিস্তানের কাছে এক মাসের আমদানির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রিজার্ভ অবশিষ্ট ছিল না।

সৌদি আরব এপ্রিল মাসে তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু আইএমএফ বেলআউট আসন্ন হবে তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকে অর্থ জমা করা বন্ধ করে দিয়েছিল।

মঙ্গলবারের ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টুইট করে বলেছেন, ‘সৌদি আরব রাজ্যের নেতৃত্ব এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। এটি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থা প্রতিফলিত করে।’

সার্বভৌম ঋণ খেলাপির ধাক্কায় পাকিস্তান জুনের শেষ দিনে আইএমএফ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার বেলআউট নিশ্চিত করেছে। যদিও এটির জন্য এখনও আইএমএফ বোর্ডের অনুমোদনের প্রয়োজন সে উপলক্ষে বুধবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

নয় মাসের ব্যবস্থার অধীনে পাকিস্তান প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার অগ্রিম পাবে।

আইএমএফ চুক্তি সৌদি আরবের অর্থের পাশাপাশি আরও দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক অর্থায়নের দুয়ার উন্মুক্ত করবে এবং দার বলেছেন যে তিনি আশা করছেন এই মাসের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১৫ বিলিয়নে দাঁড়াবে।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতিগত সুদের হার রেকর্ড সর্বোচ্চ ২২ শতাংশে উন্নীত করেছে যখন সাধারণ পাকিস্তানিরা প্রায়২৯ শতাংশে চলমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে।

পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্প্রতি বেশ কিছু প্রচণ্ড আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে, যেমন গত গ্রীষ্মে ভয়াবহ বন্যায় ১ হাজার ৭৩৯ জন নিহত, ৩০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি এবং আরও লাখ লাখ মানুষ ভুক্তভোগী হয়।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি আন্তর্জাতিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :