মুশফিক-রিয়াদকে ছয়-সাতে খেলানোয় বাংলাদেশের সমালোচনায় ওয়াসিম-মিসবাহ
অনেক স্বপ্ন নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও বাদ যায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের খেলায়। বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক হারে ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
পাগলাটে টিম সিলেকশন আর ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলে টিম ম্যানেজমেন্টকে দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরাও।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর আরও একবার কাঠগড়ায় হাথুরুসিংহেরা। ভারতের সাবেকরা যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, পুনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট দেখেও কেন একজন বাড়তি স্পিনার খেলানো হলো। তেমনি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা অবাক হয়েছেন, ব্যাটিং ব্যর্থতার পরেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারকে এত নিচে খেলানো নিয়ে।
সাকিব নেই তবুও এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছয় ও সাত নম্বরে খেলানোর করাণে সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের দুই সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম ও মিসবাহ উল হক। দুজনেই মনে করেন এই ম্যাচে তাদেরকে আরও উপরে খেলানো উচিত ছিল।
ওয়াসিম প্রশংসা ভাসান মাহমুদউল্লাহকে। তার মতো ভালো টেকনিক ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন ব্যাটারকে কেন বাংলাদেশ সাত-আটে নম্বরে খেলাচ্ছেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না ওয়াসিম আকরাম। মিডল অর্ডার নিয়মিত ব্যর্থ হওয়ার পরও তাকে কেন ফিনিশার হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে এটা বুঝতে পারছেন না ‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত সাবেক এই তারকা।
পাকিস্তানের ‘এ স্পোর্টস’ এর ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে আকরাম বলেন, ‘সাকিব ১০ ওভার বোলিং করে থাকে এবং টপ অর্ডারে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বাংলাদেশের কেউ একটি জিনিস আমাকে একটু বোঝান, যখন আপনি মিডল অর্ডার নিয়ে ধুকছেন আপনি কিভাবে আপনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহকে কেন সাত-আট নম্বরে খেলানো হয়। তার টেকনিক ভালো, অভিজ্ঞতা আছে তাকে আপনারা ফিনিশার হিসেবে রেখে দিয়েছেন। যেখানে মিডল অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে।’
মিসবাহ উল হকের ধারণা মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ যখন ব্যাটিংয়ে এসেছেন ততক্ষণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। দুজনে মিডল অর্ডারে খেললে ম্যাচে নাগালে নেয়ার সুযোগ ছিল টাইগারদের।
সাবেক এই পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘মুশফিক ছয় নম্বরে এসেছে। সে ভালো ফর্মে আছে। সাকিব নেই তার যেই সুযোগটা ছিল সেটা ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। আপনি কিছুটা হলেও তো পরিবর্তন করতে পারতেন। কারণ সাকিব নেই। জুটি প্রয়োজন ছিল। মুশফিক ভালো ফর্মে। এই দুজনে উপরে খেলালে তারা খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।’
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এনবিডব্লিউ