সমুদ্র সৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৩৫

ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' এর প্রভাবে উত্তাল সাগর। পাড়ে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। কিন্তু কোন কিছু আটকাতে পারেনি সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষকে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হয়ে গেল দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বালিয়াড়িজুড়ে। মঙ্গলবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।

আয়োজকেরা জানান, কক্সবাজারে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হয়। এবার ১৫১টি মণ্ডপের ২ শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর, নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জেলার উখিয়া, টেকনাফ, সদর, ঈদগাঁও, চৌফলদণ্ডী ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। ট্রাকে ট্রাকে আসা প্রতিমায় ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেও নাচে-গানে আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে। বিসর্জন ঘিরে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসে লাখো মানুষ। সব ধর্মের মানুষের পদচারণায় বালিয়াড়িতে বসে সম্প্রীতির মিলনমেলা।

দুপুর থেকে বিজয়া মঞ্চে চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিকাল ৪টায় বিজয়া দশমীর কথামালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।

তিনি বলেন, 'প্রতিমা বিসর্জনও কক্সবাজারের পর্যটনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে সকল ধর্মের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একিভূত হয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে জড়ো হয়েছে। যেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এই কক্সবাজার'

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল করের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, নারী সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম।

কথামালা শেষে পড়া হয় বিসর্জন মন্ত্র। এরপর একে একে সাগরে বিসর্জন দেওয়া হয় ২০০ প্রতিমা। বিসর্জন ঘিরে পুরো কক্সবাজার ছিল নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।

(ঢাকা টাইমস/২৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :