চুয়াডাঙ্গায় লাইসেন্সে জন্মতারিখ সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৪১ | প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৪

পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ভুল হওয়া জন্মতারিখ সংশোধন ও স্মার্টকার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন পেশাদার মোটরযান চালকরা।

শনিবার শহরের শহিদ হাসান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও মাগুরা জেলার শতাধিক ভুক্তভোগী মোটরযান চালক এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মানববন্ধনে শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোকার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ি-ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান দাহ্য পদার্থ বহনকারী ব্যাতীত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাংকলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ মামুন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বিআরটিএ কার্যালয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন ফাইল পড়ে আছে। এসব আবেদনপত্রের কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ সংশোধনের দাবি তুলে গত তিন মাসে আরও দু’বার মানববন্ধন করা হয়। একজন পেশাদার চালক ৪-৫ বার নবায়ন করে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও বর্তমানে জন্মতারিখ ভুলের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছেন না। ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনের পর জানা মতে ২০১৬ সালে জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। বর্তমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভলিউমে সঠিক তথ্য থাকা চালকদের জন্মতারিখ সংশোধন পূর্বক নবায়নের সুযোগ এবং নন-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স শিথিল করে দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় যেসব ভলিউমে জন্মতারিখ সংশোধন করা হয়েছে সেগুলো নবায়নের লাইসেন্সগুলো পূর্বের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্রুত নবায়নের সুযোগ দিয়ে স্মার্ট কার্ড প্রদান করতে হবে। পূর্বে ২০ বছরের ঊর্ধ্বে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হত। বর্তমানে ২০২১ সালের দিকে এক প্রজ্ঞাপনে ২১ বছরের ঊর্ধ্বে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পূর্বে যারা ২০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে লাইসেন্স পেয়েছেন তারা বর্তমানে নবায়ন করতে এসে ২০২১ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২১ বছরের সীমায় অর্থাৎ দেড় বছরের বয়স সীমায় আটকে যাচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, অনেক চালকের শ্রেণি সংযোজন, শ্রেণি পরিবর্তন, নথিভুক্ত কার্যক্রমে কয়েক বছরের মধ্যে এখনও পর্যন্ত জটিলতা নিরসন হয়নি। অনেক চালকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও জন্মতারিখের জটিলতার কারণে তারা লাইসেন্স পাচ্ছেন না। সারাদেশে বৈধ চালকের সংখ্যা থেকে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী চালকদের লাইসেন্সের দু’বছর পূর্তি হলে সকল চালককে হালকা থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে ভারী লাইসেন্স প্রদানের জন্য সুযোগ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য সারা বাংলাদেশে ৪০-৫০ হাজার পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হলে এই সকল চালকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তায় বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এমতাবস্থায় চালকরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের জীবন যাতে বিপন্ন না হয় সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখবেন বলে আন্দোলনকারী চালকদের বিশ্বাস।

চালকরা তাদের পূর্বের লাইসেন্স ও নবায়নের স্লিপ নিয়ে ২-৩ বছর ধরে রাস্তায় মোটরযান চালাতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা স্লিপ এবং পূর্বের লাইসেন্স মানতে রাজি হচ্ছেন না। চালকরা বারবার লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জরিমানা। চালকদের জরিমানা প্রদান এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য দূরের জেলায় যেতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বক্তারা বলেন, পেশাগত দিক বিবেচনা এবং চালকদের পরিবার-পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবতা ও সহানুভুতির সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক ট্যাংকলড়ি ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান দাহ্য পদার্থ বহনকারী ব্যাতীত শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ রকিব, প্রচার সম্পাদক আজগার উদ্দিন মুন্না প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৫ নভেম্বর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :