মাছের আড়ালে গাঁজার চালান, গ্রেপ্তার দুই কারবারি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছবাহী পিকআপ ভ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ দুই কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বাহিনীটি বলছে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে মাদক এনে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে বিক্রি করছিল।

অভিযুক্তরা হলেন- চক্রের মূলহোতা মহসিন ও তার সহযোগী পিন্টু চন্দ্র সরকার।

গত সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে মাছের আড়ালে বহন করা ১০০ কেজি গাঁজাসহ একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র‍্যাব-৩ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার মেঘনা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে পিকআপে পানির ট্যাংকিতে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে মাদক পরিবহন করা দুই কারবারিকে ১০০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, “এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক আনত। এরপর সেগুলো রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ ও বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করত।”

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, “পিকআপে মাছ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতরে মাদক পরিবহন করে। পিকআপে মাছ থাকার তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতো। চেক পোস্টে তাদের গাড়ি থামালে বলত, কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মাছ লোড করে যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাচ্ছে। পিকআপে মাছের ড্রামে গাঁজা লুকিয়ে রাখায় তারা নিশ্চিত ছিল যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশিতে মাদকের সন্ধান পাওয়া যাবে না। এভাবে তারা মাদক এনে কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতো। এরপর সেগুলো কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্নভাবে বিক্রি করত।”

লে. কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, “মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা হলো মহসিন এবং তার অন্যতম সহযোগী পিন্টু। কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আরও কয়েকজন মাদক কারবারি এই চক্রে জড়িত রয়েছে। তারা অল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে মহসিনের পরিকল্পনায় মাদক সিন্ডিকেটটি গড়ে তোলে। তারা একেক সময় একেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করতো। তারা কখনও ভুয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করে, কখনও মাইক্রোবাস/প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহনের নামে কিংবা যাত্রীবাহী বাসযোগে এবং পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানে করে মাদকের বড় চালান নিয়ে আসত।”

মহসিন পারিবারিক টানাপোড়েনের কারণে পড়াশোনা না করে ছোটবেলা থেকে নিজ এলাকায় নছিমন গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরবর্তীতে পিকআপের হেলপারি শুরু করেন। চার বছর পিকআপের হেলপারি করার পর নিজেই পিকআপ চালানো শুরু করেন। এরপর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে পিকআপযোগে পণ্য পরিবহন করেন। এই পেশার আড়ালে মাদক পরিবহন করতেন।

তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় আরেকটি মাদক মামলা রয়েছে।

আর পিন্টুর পেশা মূলত কাঠমিস্ত্রি। মহসিন এবং পিন্টুর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় মাদক সেবনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে মহসিনের দেখানো প্রলোভনে পিন্টুকে তার মাদক ব্যবসার সহযোগী মহসিনের সঙ্গে মাদকদ্রব্য পরিবহন ও কারবার করতেন। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এসএস/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২১ 

অবিবাহিত বলে চাকরি, স্ত্রীর অভিযোগে ফেঁসে গেলেন এএসপি ইমরান

জুতা রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ী সাবেরকে খুন, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দুদকের

চুরির মামলা তদন্তে নেমে একে একে মিলল ৫ অস্ত্র

শিল্পী পরিচয়ে ভয়ংকর মাদক কারবারে গায়ক রেবেল, কাজ করতেন ‘ভাইজানের’ হয়ে

২৮ অক্টোবর অছিম পরিবহনে ছাত্রদলনেতার আগুনে প্রাণ যায় নাঈমের, যেভাবে রহস্য উদঘাটন

কেরাণীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার 

সোনালী লাইফের বহিষ্কৃত সিইও মীর রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :