রাজশাহীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাগমায় স্ত্রীকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে রুবেল হাসান (২৮) নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। হত্যার সময় রুবেল তার মা-বোনকে অন্য রুমে আটকে রাখেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম রুবেল হোসেন (২৮)। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। রুবেল বাগমারা এলাকার মৃত ওসমান আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
এ সময় তিনি জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে মহানগরীর কাটাখালীর মাসকাটাদীঘি পূর্বপাড়া গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রী হত্যা মামলার মূলহোতা পলাতক আসামি রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল র্যাবকে জানায়, সে পেশায় একজন রডমিন্ত্রী। রুবেল প্রায় ৭ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে ভিকটিম ঝর্ণা আক্তার লিপিকে (২৫) বিয়ে করে। তাদের সংসারে ১টি ছেলে সন্তান রয়েছে। রুবেল একজন মাদকাসক্ত। তার গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও হতে বিভিন্ন অংকের ঋণ নেওয়া ছিল বিধায় হতাশাগ্রস্ত ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিবাহের পর হতে সংসারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই আসামি তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।
এ ছাড়াও আসামি ভিকটিমকে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত যার ফলে সার্বক্ষণিক পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো এবং একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়। কয়েকদিন পরে আসামি রুবেল তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে মাফ চেয়ে বলে, “আর কখনো মারপিট করবো না, একটি বারের মতো আমাকে সুযোগ দিন, আমি ভালো হয়ে যাব।” আসামির কথামতো সরল বিশ্বাসে পুনরায় ভিকটিমকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।
গত ২৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামি ও ভিকটিম শয়ন কক্ষে শুয়ে পড়ে। ২৯ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আসামি তার মা ও বোনকে অন্য একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে লোহার ধারালো শাবল দিয়ে ভিকটিমের গলা, বুক ও থুতনিতে গুরুতর আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করে সে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাজশাহী মহানগরীতে বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করে রুবেল হোসেন। পরে কাটাখালীর মাসকাটাদীঘি পূর্বপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব জানায়।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/এআর)