ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন: যাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি নেই, তাদের কী হবে? 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৯ | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৭

সম্প্রতি বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) কার্যকর করে ভারত। আইন অনুযায়ী, ভারতের প্রতিবেশী তিন দেশের অ-মুসলিম সংখ্যালঘুরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে তাদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে এসেছেন, তাদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইনে। কোন পদ্ধতিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে, সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, যাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি নেই, তাদের কী হবে?

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী- যারা নাগরিকত্বের আবেদন জানাচ্ছেন তাদের মূলত দুটি নথি জমা দিতেই হবে। একটি নথিতে প্রমাণ করতে হবে, তিনি তিন প্রতিবেশী দেশ অর্থাৎ পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের কোনও একটি থেকে এসেছেন। অপর নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, ওই ব্যক্তি ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন।

তবে যাদের নথি নেই, তাদের কী হবে? উত্তর দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, যে শরণার্থীদের নথি নেই, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনও জায়গা নেই আইনে। অর্থাৎ তারা নাগরিকত্ব পাবেন না। তবে যাদের নথি নেই, তাদের জন্য সরকার শীঘ্রই একটা বিকল্প ব্যবস্থা করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ চাইলে আবেদন করার জন্য সময় নিতে পারেন। সরকার আপনাদের ইন্টারভিউ-এর জন্য ডাকা হবে। নথি দেখতে অডিট করা হবে ও সামনা-সামনিও কথা বলা হবে।’ এভাবেই চলবে নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া।

তবে সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বারবার বলেছেন, এই আইন শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এমনকী মুসলিমরা এখনও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন, সেই দরজা এখনও বন্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন শাহ।

প্রসঙ্গত, সংসদে পাস হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) কার্যকর করা হলো।

সোমবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সারা দেশে সিএএ কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ চালু হয়ে যাবে। তাই হলো। ২০১৯ সালেই সংসদে সিএএ অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু তারপর রুল ফ্রেম না হওয়ায় তা চালু হয়নি।

কী বলা হয়েছে সিএএ-তে?

সিএএ-তে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে মুসলিম ছাড়া সংখ্যালঘুরা যদি ভারতে নাগরিকত্ব নিতে চান, তাহলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে তাদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সরকারের যুক্তি ছিল, তিনটি দেশেই মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেদেশের সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় ও নাগরিকত্ব চাইলে তাদের তা দেওয়া হবে। যেহেতু মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই তাদের এই আশ্রয় দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

আর বিরোধীরা বলেছিল, ভারতে কখনোই ধর্মীয় ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি এবং দেওয়া উচিত নয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :