চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

জমে উঠেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের মাঠের লড়াই। এবারের আসরের অন্যতম বিগ ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই হেভিওয়েট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ক্রিকেট বিশ্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় লড়াই হলো অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দ্বৈরথ। ফরম্যাট যেমনই হোক, তাতে থাকে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
চলতি চ্যম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরও একবার এই দুই দলের লড়াই উপভোগ করবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আজকের ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চায় না অজিরা। ক্রিকেটের পালাবদলে, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চান ট্রাভিস হেড। অন্যদিকে ইনজুরি জর্জরিত ইংল্যান্ড শিবিরের ভরসা ২৪ বছরের জেমি স্মিথের ওপর।
লাহোরে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায়।
সাম্প্রতিক ফর্মের বিচার করলে এই ম্যাচে ফেভারটি অস্ট্রেলিয়া। অজিরা ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয়। ইংলিশদের অবস্থান সাত নম্বরে। তবে ইংল্যান্ডকে হালকাভাবে নিতে চায়না অস্ট্রেলিয়া। কেবল মাত্র মর্যাদা নয়, সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে হলেও জয়টা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপ ‘বি’তে তাই ইংল্যান্ডকে নিয়েই পরিকল্পনা চলছে ওয়ানডের সফলতম দলটার ক্যাম্পে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ট্রাভিস হেড বলেন, ‘এ ধরনের টুর্নামেন্টে এতগুলো প্রতিপক্ষ নিয়ে আলাদা করে পরিকল্পনা সাজানোর মতো বিলাসিতা থাকে না। তবে যখন এমন ম্যাচ থাকে, যেগুলো আসলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তখন আলাদাভাবে ভাবতে হয়। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই যে এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডকে নিয়েই আমাদের সব মনোযোগ। এবং এটা ঠিকঠাক হলে পরের গুলো নিয়ে ভাবব।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খর্বশক্তির দল নিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। বোলিং ইউনিটে নেই স্টার্ক-কামিন্সসহ ৫ বড় নাম। স্টিভেন স্মিথের দলের তাই ব্যাটিং ভালো করার বিকল্প নেই। যেখানে সবচেয়ে বেশি দায়িত্বটা ট্রাভিস হেডের ওপর।
২০২৩ বিশ্বকাপে এই হেডের ব্যাটে চড়েই ট্রফি জেতে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানেও রাখতে চান ধারাবাহিকতা। দলের হয়ে নিজের কাজটা কোথায় জানেন না, তবে এই মারকাটারি ব্যাটারের পছন্দ টপ অর্ডার। ওয়ানডেতে ব্যাটিং করায়, নিজের আলাদা পরিকল্পনা আছে হেডের।
তিনি বলেন, ‘আমি যেকোনো জায়গায় খেলার জন্য তৈরি। তবে পাওয়ার প্লেতে আমার ধারণা আমি একটু ভাগ্যবান। আমার কাছে মনে হয় শুরুটা ভালো করা গুরুত্বপূর্ণ, গ্যাপ দেখে শট খেলা এবং খেলায় নিজের নিয়ন্ত্রণ আনা। এটা না হলে বিপদে পড়তে হবে। তাই প্রস্তুত হচ্ছি ইংল্যান্ডের মানসম্মত বোলারদের সামলানোর।’
গ্রুপ বি থেকে কারা যাবে পরের রাউন্ডে, সে ধারণাও অনেকটা স্পষ্ট হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে।
(ঢাকাটাইমস/২২ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন