‘আমাদের দুঃখের কথা শোনার কেউ নাই’

চাকরি স্থায়ীকরণসহ তিন দফা দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং হল কর্মচারীরা। রবিবার শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
সমাবেশে মওলানা ভাসানি হলের ডাইনিং কর্মচারী আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘অতি দুঃখের বিষয় ছাত্ররা জিজ্ঞাসা করে এত কম টাকায় কীভাবে চলে? তারাই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। কলমের খোঁচায় আমাদের বের করে দেয়। যেখানে মানুষ গড়ার কারিগর, সেখানে এই অমানবিক কাজ চলে।’
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল বলেন, ডাইনিং কর্মচারীদের পরিস্থিতিকে দাসপ্রথার সাথে তুলনা করা যায়। সর্বোচ্চ ২৭ দিনের মধ্যে দাবি না মানলে একসাথে শিক্ষার্থীরা ডাইনিং কর্মচারীদের সাথে আন্দোলনে নামবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেইমান না। যারা তাদের দুই বেলা খাওয়ায় তাদের পাশে থাকবে। দরকার হলে ঘটিবাটি নিয়ে যার কাছে যাওয়া লাগবে, যার বাসায় যাওয়া লাগবে, সেখানে যাবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি বলেন, কনোজ কান্তি প্রশাসনের তালবাহানার কারণে ডাইনিং কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বছরের পর বছর। একটা বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারে ন।
ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মনির হোসেন বলেন, এই ৩০ বছর আমরা কষ্ট করছি, আন্দোলন করছি। কিছুদিন আগে ৮ জনের চাকরি চলে গেছে। এখন তারা কই যাবে? বেতন নাই, ভাতা নাই- আমরা কীভাবে চলব? এই কথাগুলো আমরা কার কাছে বলব। আমাদের দুঃখের কথা শোনার কেউ নাই।
চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন ডাইনিং কর্মচারীরা। অনেকের চাকরির বয়স ৩০ বছরের বেশি হলেও এখনও অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন তারা।
(ঢাকাটাইমস/০৬ ফেব্রুয়ারি/এআর/এলএ)

মন্তব্য করুন