নির্বাচন যেন ফেব্রুয়ারি ক্রস না করে, সতর্ক থাকতে হবে: দুদু

কেউ গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করলে বুঝতে হবে তারা ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে- এমনই মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপির নেতা বলেছেন, `সরকার-প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস ফেব্রুয়ারি মাসে ঐতিহাসিক একটি নির্বাচন করতে চান। সেই বিবেচনায় আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছি। তবু সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস যেন কোনোভাবে ক্রস না করে।‘
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এক প্রতীকী যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন দুদু।
দুদু বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে। আপনারা লক্ষ করবেন, দেশের ভিতরে এবং দেশের বাইরে ফ্যাসিবাদ ও তার দোসররা মিডিয়াতে যেভাবে কথা বলছে, যেভাবে চলাফেরা করছে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ।‘
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে, তার মানে এই নয় আমরা সবকিছু অর্জন করে ফেলেছি। স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা, অধিকারের জন্যে। যদি সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা না যায় তাহলে অধিকারও প্রতিষ্ঠা হবে না। আর সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, ভালো নির্বাচন হওয়া দরকার।’
ছাত্রদলের এই সাবেক সভাপতি বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস যেন কোনোভাবে ক্রস না করে।’
সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, পরবর্তী সময়ে যে সরকার আসবে সে সরকার সংস্কার করবে জানিয়ে দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। সে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তার বিচার এবং দেশের সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া।’
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন হতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই নির্বাচিত সরকার শেখ হাসিনার বিচার করবে। এবং দেশ থেকে যত টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে সব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবে। দেশের সংস্কার চালিয়ে যাবে।’
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে টিালবাহানা করে, তাহলে বুঝতে হবে তারা ফ্যাসিবাদকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক করতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, রহিমা শিকদার, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি এম এ আজাদ চয়ন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন