‘সামাজিক মাধ্যমে শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির প্রচার অমার্জনীয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ মে ২০২২, ১৭:০২ | প্রকাশিত : ০৬ মে ২০২২, ১৬:৫১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর অন্তঃসত্ত্বা ও নতুন মায়েদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। এসব কোম্পানিগুলো এমনভাবে পণ্যের কথা তুলে ধরছে; যা বিজ্ঞাপন হিসেবে স্বীকৃত না। ওইসব কোম্পানিগুলোর এ ধরণের কর্মকাণ্ড অমার্জনীয় বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

গত সপ্তাহে সংস্থাটির সদর দপ্তর জেনেভা থেকে মায়ের দুধের বিকল্প শিশুখাদ্যের ডিজিটাল বিপণন কৌশল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কারণে বিকল্প শিশুখাদ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বে বর্তমানে শিশুখাদ্যের বাজার ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংস্থাটির মতে, শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গর্ভবতী নারী ও নতুন মায়েদের ব্যক্তিগত তথ্য কিনতে বা সংগ্রহ করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ, বেবি ক্লাবের মতো ভার্চ্যুয়াল গ্রুপ, স্যোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, প্রচার ও সহযোগিতা, পরামর্শ ফোরামের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো মায়েদের কাছে পৌঁছাতে পারছে। এভাবে শিশুকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করছে তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের খাবার খাওয়ানো নিয়ে ৪০ লাখ পোস্ট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব পোস্ট করা হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে। এসব পোস্টগুলো ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মানুষের কাছে গিয়েছে। আর তাতে ১২ মিলিয়ন লাইক, শেয়ার বা মতামত পড়েছে। কোম্পানিগুলো প্রতিদিন দৈনিক গড়ে ৯০ বার তাদের পণ্য সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। এ ছাড়া, এসব পোস্টে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো ও বুকের দুধের ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকে। আবার অনেক সময় মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষমতাকেও খাটো করে দেখানো হয়।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ, চীন, মেক্সিকো, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের নারীরা সামাজিক মাধ্যমে এক সপ্তাহে কী পরিমাণ প্রচারসামগ্রী পান তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের নারীরা সপ্তাহে গড়ে দুটি প্রচার সামগ্রীর মুখোমুখি হন। এই অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি হয় মেক্সিকোর নারীদের। সপ্তাহের সাত দিন তারা এসবের মুখোমুখি হন।

এইসব বিপণন কৌশলের কারণে মানুষ শিশুখাদ্যের ক্রয় বাড়িয়েছে এবং মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকছে।

অনেক দেশেই শিশুখাদের ডিজিটাল মার্কেটিং বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো দেশে শিশুখাদ্যের ৮০ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ড. ফ্রান্সেসকো ব্রাংকা বলেন, ‘বাণিজ্যিক দুধের প্রচার কয়েক দশক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, দুধ কোম্পানিগুলো পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য আরও শক্তিশালী ও গোপন বিপণন কৌশল ব্যবহার করছে; যা অমার্জনীয় এবং তা অবশ্যই থামাতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৬মে/আরআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :