ঝিনাইগাতীতে ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের

আব্বাস উদ্দিন, শেরপুর
 | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৭

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষকেরা অনেক জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন। এ বছর অত্র এলাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। শেরপুরে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভুট্টা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে চাষ হয়েছে। বর্তমানে কৃষকেরা ভুট্টা ফসলের পরিচর্যার কাজ করেছে। উৎপাদিত ভুট্টা চাষিরা ভুট্টার খেতে সার বিষ ও সেচের মাধ্যমে বাম্পার ফলনের চেষ্টা করছে।

ভুট্টার বাজার ভালো থাকায় অনেক কৃষক ভুট্টা চাষ করেছে। কারণ ভুট্টা চাষে তেমন খরচ হয় না অল্প খরচেই উচু বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভুট্টা খুবি ভালো হয়। যে সব এলাকার কৃষকেরা ভুট্টা চাষ করেছে সেই এলাকাগুলো হলো, শালচুড়া, রাংটিয়া, ডেফলাই, দিঘিরপাড়, রামের কুড়া ও ঝিনাইগাতি সদর সহ অনেক এলাকায় ভুট্টা চাষ করেছে।

এ বছর ভুট্টা চাষিরা তাদের উৎপাদিত ভুট্টার এমন ভালো ফসল দেখে বেজায় খুশি। কারণ অল্প খরচে অধিক লাভ জনক হওয়ায় বিগত বছরের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করেছে অত্র এলাকার কৃষকরা। উল্লেখ্য ভুট্টার উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকেরা। প্রকাশ থাকে যে সরকারিভাবে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদেরকে ভুট্টা উৎপাদনের জন্য প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমি ভুট্টা চাষের জন্য প্রণোদনা হিসাবে ভুট্টা বীজ ও সার বিনা মূল্যে প্রদান করেছে। যদি সরকারিভাবে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদেরকে ভুট্টার কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হতো তাহলে আরো বেশি জমিতে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে ভুট্টা চাষ করতো। তবে সরকারিভাবে যে ভুট্টার কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে কৃষকেরা এবার ভুট্টা চাষ করেছে।

এ বছর কৃষকেরা কম খরচে ভুট্টা উৎপাদন করে বারতি আয়ের সুযোগ পেলো। আর দেশের জন্য ভুট্টা আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে কৃষিবিদ ও বিজ্ঞমহল মনে করে। যদি প্রতি বছর কৃষকেরা এই ধারাবাহিকতা রেখে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে তাতে কৃষকরাও লাভবান হবে এবং দেশের ভুট্টা চাহিদার জুগানে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারবে। কৃষকের উৎপাদিত ভুট্টা যদি দেশের ভুট্টা চাহিদা পূর্ণ করতে পারে তাহলে দেশের কোটি কোটি টাকা আটা/ময়দা আমদানি থেকে বেঁচে যাবে। এতে সমবৃদ্ধ হবে দেশ আর কৃষক হবে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান।

এ ব্যপারে ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা মো.ফরহাদ হোসেন ও নাদিয়া আক্তার, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক ও আল-আমিন এর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, এ বছর ভুট্টা উৎপাদনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আমরা কৃষকদের সহযোগিতা করেছি। যে কারনে এ বছর পূর্বের তুলনায় অনেক জমিতে কৃষকেরা ভুট্টা উৎপাদন করেছে এবং ভুট্টাও ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতি পূর্বে অনেক কৃষক স্বল্প খরচে অল্প সময়ে অধিক লাভ জনক ফসল উৎপাদনের প্রতি আগ্রহ ছিল না। কৃষকরা অন্য কৃষকের কাছ থেকে ভুট্টা উৎপাদনের লাভের বিষয়টি জানতে পেরে অনেক কৃষক এ বছর ভুট্টা চাষ করেছে। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর ভুট্টা উৎপাদন অনেক বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তাই সচেতন মহল মনে করে দেশের দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষিদের যদি সরকারি ভাবে সহায়তা দেওয়া হয় এবং কৃষকরা উৎসাহি হয়ে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে তাহলে দেশের বাহির থেকে ভুট্টা আমদানি নির্ভরতা কমবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবে অপরদিকে দেশের আটা/ময়দা উৎপাদনের সহায়ক ভূমিকা রাখবে কৃষকের উৎপাদিত ভুট্টা।

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/এআর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :