ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের দর্জিরা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০৯ | প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৫৯

চলছে পবিত্র মাহে রমজান।আর কয়দিন পরেই মুসলমানদের সব চেয়েবড় ধর্মীয় উৎসব ঈদউল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের দর্জি কারিগররা। রোজার পূর্বে থেকেই অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে দর্জি কারিগররা।

ঈদ মানেই খুশি,ঈদ মানেই আনন্দ আর এ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক।তাইতো ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে,মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা ততই বাড়তে থাকে দর্জিদের দুয়ারে।আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের মতো পোশাক বানাতে মানুষেরা ভিড় করছেন দর্জিদের কাছে।

ঈদকে সামনে রেখে এখন সেলাই মেশিনের শব্দে মুখরিত দর্জি দোকান গুলো। বাহারি নকশার কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই।শহরের দর্জি কারিগরদের দম ফেলার সময় নেই এখন। অবশ্য ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রোজার আগে থেকেই।

সরেজমিনে(১৫এপ্রিল)সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কের টেইলার্স ঘুর দেখা গেছে, ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছে প্রকার ভেদে ৬ থেকে ৮টি অর্ডার করা পোশাক।

সামনে ঈদ তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। নতুন করে অর্ডার এখন কেউ নিচ্ছে আবার কেউ নিচ্ছে না। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে যেমন ক্রেতারা খুশি তেমনি পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটে যাচ্ছেন পছন্দের টেইলার্সগুলোতে।

শহরের একাধিক টেইলার্স মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান,পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি দোকান গুলোতে। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরা। আবার কোন কোন টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমী কারিগর এনেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।

শহরের প্রাণকেন্দ্র এস. এস.রোডে অবস্থিত এবি সুপার মার্কেটের মধ্যে এশিয়ান টেইলার্সের মালিক জুয়েল রানা বলেন, নতুন করে ছেলেদের প্যান্ট-শার্টের অর্ডার টেইলার্সগুলো এখন আর নিচ্ছে না।যে সব অডার নেওয়া হয়েছিল সেই সব অর্ডার ডেলিভারি দেওয়ার জন্য কারিগররা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন প্যাণ্ট শার্টের মজুরি সম্পর্কে জানতে চাইলে জুয়েল রানা বলেন, প্যাণ্টের মজুরি ৪০০টাকা শার্টের মজুরি ৩০০টাকা এবং পাঞ্জাবির মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৪০০টাকা।অন্য দিকে শহরের খলিফা পট্টিতে অবস্থিত কণা টেইলার্সের মালিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,মেয়েদের জামা বানানোর মজুরি নেওয়া হচ্ছে গত বারের চেয়ে একটু বেশি। বিশেষ করে সিল্ক,জর্জেট,কাতান,লেলিন,বেনারসি কাপড়ের মজুরি কিছুটা বেশি। এক সেট থ্রি-পিস বানাতে মজুরি লাগছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।শহরের বিভিন্ন মার্কেটের টেইলার্স ভেদে এসব মজুরি বিভিন্ন রকম।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম মণ্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঈদকে ঘিরে শহরের শপিংমল, মার্কেট,বিপণিবিতান গুলোতে কেনাকাটার চাপ বেড়েছে।এ সময় অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট শপিংমল সড়কের সম্মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেই সাথে শহরের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বের সাথে কাজ করছে।পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণিক বাজার তদারকি করা হচ্ছে।

বাজারে নতুন পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা শাহরিয়ার পারভেজ জিকো বলেন, আর কিছুদিন পর আমাদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদউল ফিতর। ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক কিনতে বাজারে এসেছি। কিন্তু পোশাকের যে দাম আমরা কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আছি তাদের জন্য খুবই সমস্যা। বাজারে পোশাকের দাম বাড়লেও আমাদের তো আর আয় বাড়েনি।

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :