রাঙ্গামাটিতে ৪৩ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩০

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র চারদিন। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন মণ্ডপে কর্মরত মৃৎশিল্পীরা। করোনা মহামারির কারণে গত বছরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও এ বছর রাঙ্গামাটি জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৩টি মণ্ডপে জাঁকজমকভাবে পালিত হবে দুর্গাপূজা।

রাঙ্গামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এবার রাঙ্গামাটি সদরে ১৪টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৮টি, কাউখালি উপজেলায় ৪টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৫টি, রাজস্থলী উপজেলায় ৪টি, লংগদু উপজেলায় ৩টি, নানিয়ারচর উপজেলায় ১টি, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১টি, জুরাছড়ি উপজেলায় ১টি, বরকল উপজেলায় ২টি মণ্ডপে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রতিমার কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে রং-তুলির আঁচড়ে দুর্গা দেবীকে সু-সজ্জিতর কাজ। এরপর উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রতিমাসহ মণ্ডপে শেষ হচ্ছে আলোকসজ্জার কাজ।

রং শিল্পী পূজা বিশ্বাস জানান, দূগা প্রতিমাকে রং করতে খুবই ভালো লাগে। পড়ালেখার পাশাপাশি প্রতিবছর দুগা প্রতিমার বিনা পারিশ্রমিকে রং করে খুবই আনন্দ পান তিনি।

আরেক রং শিল্পী সঞ্জীব জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা উৎসব। দুর্গা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মায়ের প্রতিমা গড়ে থাকেন। প্রতিমা শিল্পী হিসেবে সেটি তাদের অনেক বড় পাওয়া এবং বিভিন্ন পূজামণ্ডপে বিভিন্ন আদলে মায়ের আলোকসজ্জার কাজ করে থাকেন। তিনি আরো জানান, প্রতি বছর এই প্রধান ধর্মীয় উৎসব জাঁকজমকভাবে পালিত হয়।

২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী থেকেই পুজা মন্ডপগুলি ঢাক-ঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের শব্দে মুখরিত হবে। ২৪ অক্টোবর দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ঘটবে এ বছর দুর্গা পূজার সমাপ্তি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মহালয়ার দিন থেকেই দেবীর আগমন উৎসব শুরু হয়। বিগত বছরগুলো থেকে এ বছর প্রতিমা তৈরির খরচ বেশি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাঙ্গামাটি জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল ত্রিপুরা জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে রাঙ্গামাটিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, প্রত্যেক মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির ২৫টি নির্দেশনা মেনে পূজা সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।

রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং কোনো মণ্ডপে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে পুলিশের নজর থাকবে। পাশাপাশি আনসার নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :