সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা
পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছবি ও ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়াও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার দায়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার বাঘমারা গ্রামের লিটন মিয়া, শেরপুর জেলার তাতীহাটি পূর্ব পাড়া গ্রামের আকিল হাসান ও তার শ্বশুর কালিয়াকৈর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম।
উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করে প্রতারক লিটন। পরে আউটসোর্সিং চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নগদ টাকা আত্মসাৎ করেন লিটন। এ ঘটনায় পুলিশের সাইবার টিম ওই ফেসবুক আইডি শনাক্ত করে জামালপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার লিটনের জব্দকৃত দুটি মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, লিটন পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম, ছবি দিয়ে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারক লিটন অন্তত ২০০ মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কারো কাছে ১০ হাজার, কারো থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে সে।
এদিকে, বিকাশ, নগদ এজেন্টদের পিন নম্বর সুকৌশলে সংগ্রহ করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আকিল হাসান ও তার শ্বশুর শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপকমিশনার কামাল হোসেন বলেন, গত ১৯ নভেম্বর সদর থানায় একটি বিকাশ, নগদ একাউন্টসহ মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরির মামলা হয়। মামলা তদন্ত করে গতকাল গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব ও কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, তারা বিকাশ প্রতারণার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটিয়ে আসছে। তাদের চক্রের সদস্যরা বিকাশ এজেন্ট দোকানকে টার্গেট করে তাদের লেনদেনকালে সুকৌশলে এজেন্টদের বিকাশ, নগদের পিন নম্বর সংগ্রহ করে। এজেন্টদের বিকাশ পিন নম্বর সংগ্রহের পরবর্তীতে তারা রাতে বা সুবিধামত দিনের যেকোন সময় বিকাশ, নগদ একাউন্ট চালুকৃত মোবাইল ফোনটি চুরি করে পিন নম্বর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে।
(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/ইএইচ)