রাবির রোকেয়া হলে খাবারের মান বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি শিক্ষার্থীদের 

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২

ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ক্যান্টিনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে ক্যান্টিনে তালা দিয়ে হল গেটে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সাড়ে দশটার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে প্রাধ্যক্ষ সাতদিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- ক্যান্টিন ব্যবস্থাপকের অপসারণ, ক্যান্টিনের খাবারের মান বাড়ানো এবং নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা।

এসময় ‘খাবারের মান বাড়ানো হোক, নাহলে গণরুমের জন্য ব্লকে রান্নাঘর চাই’, ‘খাবার খেয়ে অসুস্থ হলে দায়ভার হবে কার?’, ‘খালাদের ভালো ব্যবহার চাই’, ‘খিচুড়িতে কি শুধু হলুদই দেওয়া হয়?’সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিনের তালা খুলবেন না তারা। তবে, নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ না হওয়ার আগে হল কর্তৃপক্ষ অন্যভাবে খাবারের ব্যবস্থা করলে তারা তালা খুলে দিবেন।

আন্দোলনকারীদের একজন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম পলি বলেন, ক্যান্টিনের নতুন ব্যবস্থাপক আসার পর থেকেই ক্রমাগতভাবে খাবার নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা বলতে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই খাবার শেষ হয়ে যায়। খাবার মানসম্পন্ন হয় না। রুটি বানায় টিস্যু পেপারের মতো পাতলা করে। খিচুড়িতে ডাল থাকে না, আবার শুকনা মরিচ দিয়ে রান্না করে। সবজি পাওয়া যায় না। হালুয়ার মতো ডাল রান্না করে। এককথায় ওইসব খাবার মেয়েরা খেতে পারেনা। গুটিকয়েক যারা ওই খাবার খায়, তাদের অনেকের আবার পেটে সমস্যা হয়।

তিনি আরও বলেন, এইসকল সমস্যা নিয়ে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্রীরা অনেকবার কথা বললেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই একই দাবিতে তৃতীয়বারের মতো আজ আমাদের আন্দোলন করা লাগছে। মূলত, আজ সকালে কয়েকজন খেতে গিয়ে খাবার না পেলে উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকেই আন্দোলন শুরু হয়।

আরেক শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার বলেন, এর আগেও একই দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। আন্দেলনের পর কিছুদিন খাবার ভালো দিলেও পরে পূর্বের মতো দিতে শুরু করে। এছাড়া, উনি ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ক্যান্টিনের মধ্যে থাকা দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস রাখেন। আবার জিনিসপত্রের দামও তুলনামূলক বেশি রাখেন। দোকানে লিখে রেখেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস ফেরত নেওয়া হয় না, অথচ বিক্রিই করেন মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস।

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়ন্ত রানী বসাক বলেন, যেহেতু ক্যন্টিনের খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না, সেহেতু আমরা তাদের দাবিগুলো মানার কথা বলেছি। তবে আমরা চাইনি, ক্যান্টিনটা আপাতত বন্ধ থাকুক। আমরা চাচ্ছিলাম, ক্যান্টিন চলুক, এরমধ্যেই আমরা বিকল্প কাউকে খোঁজার চেষ্টা করবো। কিন্তু তারা সেটাতে রাজি হয়নি।

সাতদিনের মধ্যে দাবি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা দুইদিনের মধ্যেই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবি করেছিল। আমরা জানায় এতো কম সময়ে সম্ভব না, কারণ এখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। এরপর তারা সাতদিনের কথা বলেছে। সাতদিন সময়টা তাদের কথা। আমি তাদের বলেছি, আমি আমার মত চেষ্টা করবো। কারণ অফিসইতো খোলা থাকে সপ্তাহে পাঁচদিন, সাতদিন আমি কিভাবে কাজ করবো?

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

কুবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ: সত্যতা পাওয়ায় ঢাবির অধ্যাপক জুনাইদকে সাময়িক অব্যাহতি

বিএসএমএমইউকে চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় এক নম্বর হতে হবে: উপাচার্য

‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক’

উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি

এসএসসির ফল দেখার পদ্ধতি জানাল শিক্ষাবোর্ড

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আল্টিমেটাম

ইবি বিজনেস ক্লাবের যাত্রা শুরু; সভাপতি নাজিম, সম্পাদক রাফায়েল

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন পাবনার দুলাল

স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সমাবেশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :