নতুন কুড়ি থেকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তিশা

১৯৯৫ সালের কথা। সবে তখন ৯ বছরে পা দিয়েছেন হালের প্রথম সারির অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। নাম লিখিয়েছিলেন বিটিভিতে প্রচারিত নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। অর্জন করেছিলেন প্রথম স্থান। কচি হাতে তুলে নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারের মতো বড় একটি সম্মাননা। সেই থেকে তার পথচলা শুরু।
শিশুশিল্পী হিসেবে মূলত গান করতেন তিশা। তবে ১৯৯৭ সালে হঠাৎ তার শখ হলো অভিনয় করবেন। করলেনও। অনন্ত হীরার ‘সাতপেড়ে কাব্য’ নামের একটি নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। পরে ২০০৩ সাল থেকে অভিনয় ও মডেলিংয়ে পুরোদস্তুর ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
তবে যে গানের মাধ্যমে তার পরিচিতি সেই গানকে ভোলেননি তিশা। গড়ে তোলেন ‘তিশা এঞ্জেল ফোর’ নামের একটি ব্যান্ড দল।
নতুন কুঁড়ির চ্যাম্পিয়ন সেই তিশা এখন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। অভিনয় দিয়ে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। টিভি নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু হলেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিশা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নাট্য ও চলচ্চিত্র জগতের সব শ্রেণির দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।
তিশার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরে। ২০০৯ সালে ফারুকীর পরিচালনায় ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করে প্রথম সিনেমাতেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অর্জন করেন ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’।
এরপর তিশার হাতে এসেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ২০১৬ সালে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অস্তিত্ব’ সিনেমাটির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে এই পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে ‘হালদা’ সিনেমার জন্য আরও একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিশা।
আজ সেই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৮৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম হয়েছিল রাজশাহীতে। গত ১৪ বছর ধরে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহধর্মিণী তিশা। ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এ জুটি। তাদের সংসারে এক কন্যাসন্তান। নাম ইলহাম নুসরাত ফারুকী।
(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন