শরীয়তপুরে পেঁয়াজের উৎপাদন কম, পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি
শরীয়তপুরে পেঁয়াজ প্রধান ফসল হলেও স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের ফলন কম হওয়ায় চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে তুলনামূলক পেঁয়াজ কম আমদানি হয়েছে। একদিকে আমদানি কম অন্যদিকে পেঁয়াজের বীজ ও সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে কৃষকদের উপর। ফলে প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
জানা যায়, গত বছর এক কেজি ডিএপি সার বিক্রি হয়েছে ১৬ টাকায় এবার তা বিক্রি হয়েছে ২১ টাকায়, ইউরিয়া বিক্রি হয়েছিল ২২ টাকায় এবার বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকায় এবং এমওপি দাম গত বছর ছিল ১৫ টাকা এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য কৃষি সামগ্রী ও শ্রমিক খরচও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সবকিছু মিলিয়ে প্রভাব পড়েছে বাজারে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষক আব্দুল রাজ্জাক জানান, এবার ২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছে তিনি। প্রতিবিঘায় ৪০-৪৫ মণ করে পেঁয়াজ পেয়েছেন। তবে বৃষ্টি না হলে প্রতিবিঘায় ৬০-৭০ মন করে পেঁয়াজ পেতেন। তবে পেঁয়াজ উৎপাদন কম হলেও উচ্চমূল্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি। প্রতিকেজি ১০৫-১১৩ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন।
নুরু হক সরদার নামক এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, এলসি আসার খবরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও ভিন্ন খবরে কখনও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আড়ত ব্যবসায়ী আবদুল জলিল মাদবর জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক পেঁয়াজ লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ফলে পেঁয়াজের উৎপাদনও কম হয়েছে।
পেঁয়াজের বাজার ও উৎপাদন নিয়ে শরীয়তপুর জেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর। কিন্তু পেঁয়াজের চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। এবার জেলায় ৩ হাজার ৯০৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে জেলায় পেঁয়াজ চাষিদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। এদিকে বাজার দর বৃদ্ধির জন্য
আমদানি কম হওয়া ও মজুদদারদের দুষছেন তিনি।
(ঢাকা টাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)
মন্তব্য করুন