হালকা বাতাসেই বিদ্যুৎবিহীন কালকিনি হাসপাতালসহ বেশিরভাগ এলাকা

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬

বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো বাতাসেই টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় যাবৎ বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা।

গতকাল রবিবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্তও এসব এলাকার কোনো লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়নি।

শুধু গতকালই নয়, প্রায়ই এমনটা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসংখ্য রোগীসহ পুরো এলাকার মানুষদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বিশেষ করে এখন রমজান মাস হওয়ায় রোজাদারদের নামাজ পড়তে ও ভোর রাতে সাহরি খেতে অসুবিধায় পড়তে হয়। কোনো কোনো বাসায় পানি না থাকায় মুসল্লিরা ওজুও করতে পারেননি।

এদিকে কিছু কিছু বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর চালিয়ে কোনোমতে জরুরি সেবা দিতে দেখা যায়। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রায় ৪৫ মিনিট যাবৎ হালকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়। এসময় থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণ জানতে কালকিনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জরুরি সেবা নাম্বারসহ (০১৭৬৯ ৪০১৩৯৭) একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাই তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্যও জানতে পারেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা মো. নাজিম হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার কল দিলাম, তাও কেউ ফোন ধরলেন না! আমার প্রশ্ন হলো এই মূহুর্তে আমি বিদ্যুৎ সংযোগের তথ্যের ব্যাপারে কল না দিয়ে যদি কোনো দূর্ঘটনার খবর দেওয়ার জন্য কল দিতাম তাহলে তাদের কীভাবে পেতাম? বিদ্যুৎ তো ঠিক মতো থাকেই না, আবার জরুরি কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনেরা বলেন, হাসপাতালের মতো একটা জরুরি সেবাকেন্দ্রে প্রায় ১২ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না; বিষয়টা ভাবা যায় না। এরকম হলে তো রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই বিষয়টা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দেখা উচিৎ।

এ ব্যাপারে জানতে কালকিনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) পংকজ সিকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘কোথায় কখন থেকে বিদ্যুৎ নেই তা আমার জানা নেই। আমি সকালে অফিসে গিয়ে জেনে ওই এলাকায় লোক পাঠাবো।’

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/প্রতিনিধি/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :