আবারও ডটিনের ব্যাটিং তাণ্ডব, পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ নারী দল। এবার টাইগ্রিসদের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারলো বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ২২ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেছিলেন ডিয়ান্দ্রা ডটিন।
ওই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ক্যারিবিয়ান মেয়েদের কাছে পাত্তা পেল না নিগাল সুলতানা জ্যোতির দল। এবারও ডটিনের বিষে নীল হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সেন্ট কিটসে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছে বাংলাদেশ। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েদের কাছে বাংলাদেশের মেয়েদের হারের ব্যবধান ১০৬ রান।
এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবীয়রা। জবাবে টাইগ্রেসরা ৯ উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রথম ম্যাচে ১৩২ রানে হেরেছিল টাইগ্রেসরা। সেটিই টি-টোয়েন্টিতে মেয়েদের সবচেয়ে বড় হার।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ সুচনা এনে দেন কিয়ানা জোসেফ-হেইলি ম্যাথিউস জুটি। মাত্র ৫.৩ ওভারে ৫৩ রান তোলে তারা। ১৮ বলে ৬ চারে ২৭ রান করা ম্যাথিউসকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান।
ওয়ান ডাউনে নামা শেমাইনে ক্যাম্পবেল বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ বলে ১১ রান করে ফাহিমা খাতুনের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর নামা ডটিন ব্যাটকে খাপছাড়া তরবারি বানিয়ে জোসেফের সঙ্গে ধংসযজ্ঞে যোগ দেন। মাত্র ২৭ বলে এই জুটি ৬৩ রান যোগ করে।
জোসেফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রাবেয়া। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৩৬ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে ৬৩ রান করেন জোসেফ।
এক ওভার পরেই স্বর্ণা আউট করেন ডটিনকে। ততক্ষণে অবশ্য সর্বনাশ হয়েই গেছে। আউট হওয়ার আগে মাত্র ২০ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৪৯ রান করেন তিনি। জানেলিয়া গ্লাসগো ১৪ বলে ১৪ রান করে ফাহিমার শিকারে পরিণত হন।
শেষদিকে ঝড় তোলেন সাবিকা গজনবিও। ১২ বলে ৩ চারে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাহিদা জেমস তাকে সঙ্গ দেন ৬ বলে ৮ রান করে।
৪ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন ফাহিমা। রাবেয়া ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি যায় স্বর্ণার দখলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি, ফাহিমা, রাবেয়া আর সুলতানা। দিলারা ৮, তাজ নেহার ৫ ও ফারিহা তৃষ্ণা ১ রান করেন।
টাইগ্রেসদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ২ চারে ২২ রান করেন শারমিন আক্তার। এছাড়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা ১৯ বলে ১০, স্বর্ণা ১৫ বলে ১৬ এবং লতা মণ্ডল ৩১ বলে ১৩ রান করেন।
ক্যারিবীয়দের পক্ষে আফি ফ্লেচার, চেরি-আন ফ্রেসার এবং হেইলি ম্যাথিউস ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন জাহিদা জেমস এবং আশমিনি মুনিসার।
(ঢাকাটাইমস/৩০ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন