নিউ জিল্যান্ড সফরে কে যোগ হচ্ছেন?

বিপিএলের আগে ঘোষণা করা হয়েছিল দল। বিপিএল শুরু হতে নাজমুল হাসান পাপনের মত পাল্টে যায়। জানান, নিউ জিল্যান্ড সফরের দলে পরিবর্তন আসবে। কয়েকজনকে কীভাবে যুক্ত করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল তাদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
বিসিবি সূত্রের খবর নাসির, রাব্বি, শাহরিয়ার নফিস এবং মেহেদি মারুফের ভেতর থেকে যে কাউকে দলে ডাকা হতে পারে। এই সফরের দলে থাকা মোহাম্মদ শহীদ ইনজুরিতে পড়ায় পেসারদের জন্য একটি জায়গা খালি হয়েছে। সেখানে কে ডাক পাবেন সেটা নিয়েও চলছে আলোচনা। ৩ ডিসেম্বর, শনিবার তিন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি, রুবেল হোসেন এবং আল-আমিন হোসেনের ফিটনেস যাচাই করার কথা। তিনজনের মধ্যে আল-আমিনের সম্ভাবনা ছিল বেশি। কেননা তার ফিটনেস অন্য দুজনের চেয়ে সবসময় ভালো। কিন্তু চট্টগ্রামে খেলতে যেয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে তাকে আর বিবেচনায় নেয়া হবে না বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে। রুবেলের প্রতিও কর্তারা খুব একটা সন্তষ্টু নন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প সেরে নিউ জিল্যান্ডে পাড়ি দিবে বাংলাদেশ। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে তিনটি ওয়ানডে, দুটি টেস্ট এবং দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এবার বিপিএলে শুরু থেকে আলো ছড়াচ্ছেন মেহেদি মারুফ। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ৩১৬ রান করে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় তার অবস্থান চতুর্থ। প্রথম ১৫ জনের ভেতর তার স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে বেশি, ১৪১.০৭। ৪২৫ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন তামিম ইকবাল। তার স্ট্রাইকরেট ১১৬.৭৫।
শাহরিয়ার নাফিস শুরুতে ভালো করলেও শেষ কয়েক ম্যাচে আগের মতো ভালো করতে পারেননি। ১২ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৭৮।
ঢাকার হয়ে খেলা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ১১ ম্যাচে রান করেছেন ১৫৮। উইকেট নিয়েছেন ৪টি। নাসির খুব একটা বল করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২.৪ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। রাব্বি ৮ ম্যাচে ২০ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন ৬টি।
নাসির শুধু বিপিএলেই নয় সর্বশেষ যে কটি আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ম্যাচ খেলেছেন, সব জায়গায় ভালো করেছেন।
গত দুই বছরে জাতীয় দলের দ্বিতীয় সেরা স্পিনার তিনি। ১৭ ম্যাচে ২৮.২২ গড়ে ১৮টি উইকেট তার। ২৮.০৩ গড় নিয়ে কেবলমাত্র সাকিব তার উপরে আছেন। বরং ইকোনোমি রেটে সাকিবের চেয়ে অনেক এগিয়ে তিনি। ৪.৪১ ইকোনমি রেট নিয়ে মোস্তাফিজ বাদে সবার উপরে তিনি। মোস্তাফিজও তার থেকে খুব একটা এগিয়ে নন, ৪.২৭।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও নাসির ছিলেন সেরার দৌড়ে। ব্যাটিংয়ে ৭৫’র বেশি গড় নিয়ে কেবল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পেছনে। গত বিশ্বকাপেও নাসির ছিলেন নাসিরের মতো। তিন ম্যাচে মাঠে নামানো হয়েছিল। তিনটিতেই সবচেয়ে ভালো বোলিং গড় তার। ইকোনোমি রেটেও ছিলেন দ্বিতীয়। ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ দুই ম্যাচেও নাসির সবার নজর কাড়েন। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে তার অবদান ছিল। তৃতীয় ম্যাচে দল হারলেও ব্যাটে-বলে নাসির অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।
কোচের সঙ্গে ঝামেলার কারণে মাঠে নামা হয় না তার। এই কাহিনী পুরনো। শোনা যাচ্ছে, নাসিরের ব্যাপারে ‘কড়া হেডমাস্টার’ হাথুরুসিংহে সুর নরম করেছেন।
নাসিরের ‘শাপমোচন’ হলেও হতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/৩ডিসেম্বর/এএম)

মন্তব্য করুন