চট্টগ্রামে মাদ্রাসার মালিকানাধীন ভবনে বিস্ফোরণ, আহত চার

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানার দেওয়ানবাজার এলাকায় মাদ্রাসার মালিকানাধীন একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও সেটা কীভাবে হয়েছে তা বলতে পারছে না পুলিশ। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে এই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বাকলিয়া থানার নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আরাবিয়া খাইরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মালিকানাধীন ওই ভবনটি মাদ্রাসা ভবন নামে পরিচিত। ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণে উড়ে যায়।
এতে ঘরের আসবাবপত্র, জানালার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। উড়ে গেছে ভবনের একটি দেয়াল। কাঁচ আর দেয়ালের টুকরা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের সামনে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ইসমাইল জানান, বিস্ফোরণে একজন নারীসহ চারজন আগুনে ঝলসে গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণ সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক শহীদুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুনে ঝলসে যাওয়া চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হচ্ছেন, গৃহকর্তা মোতালেব, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে ইফতি ও দাদি ছমুদা খাতুন। তাদের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ইফতি ও ছমুদা খাতুনের শরীরের ১০০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরিফের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আহত পরিবারটির সঙ্গে মাদ্রাসার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তারা ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল।
ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে আছেন বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক শাহিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘ভবনের তিন তলায় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। যে ঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি রান্নাঘর ছিল না। তাই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, ওই ভবনের তৃতীয়তলায় আগুনের খবর পেয়ে চন্দনপুরা ও নন্দনকানন স্টেশন থেকে চারটি গাড়ি যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/আইকে/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন