ঈদের ছুটিতে পণ্য খালাসে আমদানিকারকদের ধীর গতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:০৬

সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে ঈদের ছুটিতে কার্যক্রম সচল থাকলেও কনটেইনার জটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। পণ্য খালাসে আমদানিকারকদের ধীর গতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও এক মাস আগে থেকে ধীর গতির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমদানিকারকদের দফায় দফায় চিঠি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ঈদের ছুটি শেষে পোশাক কারখানার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পোশাক শিল্পের কাঁচামাল দ্রুত খালাস নিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

চলতি মাসের বন্দরের কনটেইনারের সংখ্যা পর্যালোচনা করে পণ্য খালাসে খুব একটা গতি লক্ষ্য করা যায়নি। চলতি মাসের শুরুতে অর্থাৎ গত ১ এপ্রিল বন্দরের ইয়ার্ডে ৩২ হাজার ৮০৮ টিইইউএস, গত ৫ এপ্রিল ৩৩ হাজার ৬২৭ টিইইউএস, গত ১০ এপ্রিল ৩৪ হাজার ৭৭২ টিইইউএস, গত ১৫ এপ্রিল ৩৫ হাজার ৬৯৫ টিইইউএস, গত ২০ এপ্রিল ৩৭ হাজার ৪৬৬ টিইইউএস এবং ২৮ এপ্রিল বন্দরে ৩৮ হাজার ৯২৫ টিইইউএস পণ্যবাহী কনটেইনার পড়ে আছে।

সার্বিক চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে দিনকে দিন বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনারের সারি বাড়ছেই। এসব কনটেইনারে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত কাঁচামাল বেশি বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে। আমদানিকৃত পণ্যের খালাস কমে যাওয়ায় দিনকে দিন বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনারের সারি বাড়ছেই। এভাবে চলতে থাকলে বন্দরে কনটেইনার জটের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ছুটির দিন ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার একক কনটেইনার ডেলিভারি হয়। তবে শুক্র, শনি ও রবিবার ডেলিভারি ২ হাজার একক কনটেইনারের নিচে নেমে আসে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেমনাল কার্যক্রম শুধুমাত্র ঈদের দিন আট ঘন্টা বন্ধ ছিল। এর বাইরে ২৪/৭ দিনই কার্যক্রম চালু রয়েছে। আমদানিকারকরা এফসিএল ও এলসিএল কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি না নেয়ায় ইয়ার্ডে প্রায় ৩৮ হাজার ২৭৯ টিইইউএসের বেশি কনটেইনার জমে আছে। এতে করে কনটেইনার জট তৈরি হয়ে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বিঘ্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্দরে কনটেইনার জট এড়াতে ও পণ্য খালাসে গতি আনতে ঈদের আগে গত ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, বিজিএমইএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছিল বন্দর। কিন্তু চিঠি পাঠিয়েও আশানুরূপ কোন সাড়া মেলেনি। গত ১৯ এপ্রিল থেকে ঈদের কারণে বন্ধ হয় পোশাক কারখানা। বর্তমানে সচল হওয়ায় পোশাক কারখানার কাঁচামাল খালাস নিতে বিজিএমইএকে এবার মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানা বন্ধ থাকার কারণে বন্দর থেকে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস করা সম্ভব হয়নি। লোডিং-আনলোডিং ও রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বেশি পরিমাণে আমদানি কনটেইনার খালাস করতে বন্দর কর্তপক্ষ মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। তাই আমরা পোশাক শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিকারকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য খালাসের জন্য অনুরোধ করেছে সচিব ওমর ফারুক জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :