নোয়াখালীতে দুই বাড়িতে ডাকাতি, মালামাল লুট
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের নোয়ান্নই ও শাহজাদপুর গ্রামের পৃথক দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল ওই দুই বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ ৬০ হাজার টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণ, একটি মোটরসাইলে ও একটি টিভিসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের হামলা একজন আহত হন।
শুক্রবার রাত ২টা ও শনিবার ভোর ৪টার দিকে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থরা হচ্ছেন, নোয়ান্নই গ্রামের আনোয়ার উল্লাহ ও শাহজাদপুর গ্রামের আমির হামজা। ডাকাতদের হামলায় আহত হয় তারেক হোসাইন নামের এক যুবক।
আনোয়ার উল্লাহর ছেলে তারেক হোসাইন বলেন, রাত ২টার দিকে আমাদের ঘরের এক কক্ষ থেকে আমার মামার চিৎকারে সবার ঘুম ভেঙে যায়। আমাদের ঘুম ভাঙলে দেখতে পাই ৫-৬ জন ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে।
ঘরে ঢুকে তারা বাবা ছাড়া ঘরের সবার হাত পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতদের সবার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিলো। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার হাতে জখম করে। পরে তারা ঘরের আলমারি, ওয়াড্রব থেকে ২ভরি স্বর্ণ, ঘরের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল, পানির মোটর ও নগদ বিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
অপর ক্ষতিগ্রস্থ আমির হামজা জানান, ভোরের দিকে আমাদের ঘরের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ৬-৭ জনের ডাকাত দল ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার ছেলেকে বেঁধে ফেলে। ডাকাত দল আমাদের ঘর থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও একটি টেলিভিশন নিয়ে যায়।
নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ বলেন, বিভিন্ন সময় আমার ইউনিয়নে বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা মুখোশ পরে বাড়ি গুলোতে প্রবেশ করে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা দরকার।
আরও পড়ুন: মাধবপুরে গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ থমকে আছে ৮ বছর
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৬মে/এসএম)