ক্যানসার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে মিয়াজাকি আম! তাই বুঝি এত দাম?

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, ১১:৪৫ | প্রকাশিত : ১৩ জুন ২০২৩, ০৯:২৩

চলছে আমের ভরা মৌসুম। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গারা ভিড় করেছে বাজারে। এই দৃশ্য দেখেই আমপ্রেমী বাঙালির মন উড়ু উড়ু করছে। ব্যাগ বোঝাই করে আম নেয়া হচ্ছে বাসাবাড়িতে। তারপর রসিয়ে খাওয়া। এমনকি ডায়াবেটিসের রোগীরাও সবার অলক্ষ্যে একের পর এক আম সাটিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াচ্ছেন।

তবে সবাইকে ছাড়িয়ে এখন আলোচনায় জাপানের মিয়াজাকি আম। এই আমের কেজি নাকি তিন লাখ টাকার উপরে! কেন এত দাম? কী আছে এই আমে? গবেষকরা দাবি করছেন, মিয়াজাকি আম খেলে ক্যানসার, কোলেস্টেরল ও চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। সে কারণেই কি এত দাম?

বিভিন্ন প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা যায়, জাপানের মিয়াজাকি শহরে এই আমের আদি বাসস্থান। যদিও বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও মিয়াজাকি আমের চাষ হচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট জানাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের কিছু জায়গাতেও এই আম এখন ফলানো হচ্ছে।

পুষ্টিগুণের শেষ নেইমিয়াজাকি আমের

গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই আমের স্বাদ ও গন্ধ সবার থেকে আলাদা। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও ফোলিক অ্যাসিডের মতো উপকারী উপাদান। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারকে ফাঁকি দেয়ার কাজেও সাহায্য করে এই আম।

এছাড়া মিয়াজাকি ম্যাঙ্গোতে রয়েছে জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, কপার এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার। এসব ভিটামিন ও খনিজ কিন্তু শরীরের একান্ত প্রয়োজনীয়।

ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে

ক্ষতিকর কোষ যখন অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাড়তে শুরু করে, তখনই বলা হয় ক্যানসার। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই এই অসুখের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই আক্রান্ত রোগী সহজে সুস্থ হতে পারেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার এই অসুখ প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেন। এই কাজে আপনার সঙ্গী হতে পারে মিয়াজাকি ম্যাঙ্গো। বিশ্বের সব থেকে দামি এই আমের ভেতর অ্যান্টিক্যানসারস নানা উপাদান রয়েছে। ফলে কর্কট রোগ প্রতিরোধে কিছুটা হলেও সহজ হয়।

পেটের স্বাস্থ্য ফেরায়

বাঙালিদের নিত্যদিন পেটের সমস্যা লেগেই রয়েছে। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম, চোঁয়া ঢেকুর- সমস্যার যেন শেষ নেই। তবে জানলে অবাক হবেন, নিয়মিত মিয়াজাকি ম্যাঙ্গো খেলে এই সমস্যার সমাধান মেলে। এই আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে পারে। ফলে এ ধরনের সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়।

শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত না থাকলে একাধিক ছোট-বড় সমস্যা পিছু নেয়। এক্ষেত্রে হার্ট, কিডনি, চোখসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ নিজের কার্যক্ষমতা হারাতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মিয়াজাকি আম। এই আম নিয়মিত খেলে দেহে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়তে পারে। ফলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।

বশে থাকে কোলেস্টেরল

রক্তে উপস্থিত মোম জাতীয় এক উপাদান হলো কোলেস্টেরল। এই উপাদান কিন্তু রক্তনালীর ভেতর জমে। তারপর সেই অংশে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই কারণেই হার্টের অসুখ এবং স্ট্রোকের মতো রোগ পিছু নেয়।

তবে ভালো খবর হলো, প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে খেতেই পারেন মিয়াজাকি আম। এই আম নিয়মিত খেলে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।

ত্বকে ফুটে ওঠে যৌবনের দীপ্তি

বয়সের সঙ্গে সমানুপাতিক হারে ত্বকের বয়স বাড়তে দিলে চলবে না। বরং ত্বকের বয়স আটকে দিতে হবে। এই কাজটি করতে পারে মিয়াজাকি আম। নিয়মিত এই আম খেলে ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সুবিধা হয়। ৪০ বছর বয়সেও থাকা যায় একদম ২০ বছরের তরুণের মতো।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :