নেপালে নিখোঁজ হওয়া হেলিকপ্টারের ৬ আরোহী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ১৬:১১ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২৩, ১৫:৩৬

এভারেস্ট অঞ্চলে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে নেপালে একটি পর্যটক হেলিকপ্টারে থাকা ছয়জনই নিহত হয়েছেন বলে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মঙ্গলবার নিখোঁজ হওয়ার সময় হেলিকপ্টারটিতে পাঁচ মেক্সিকান পর্যটক এবং একজন নেপালি পাইলট ছিলেন। খবর এএফপির।

মানাং এয়ার হেলিকপ্টারটি সকাল ১০টা ৪ মিনিটে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণের প্রবেশদ্বার লুকলার কাছে থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের প্রায় ১০ মিনিট পরে এটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জ্ঞানেন্দ্র ভুল এএফপিকে বলেছেন, ‘বিধ্বস্ত স্থানে ছয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’ অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য মাটিতে দুটি হেলিকপ্টার ও দল মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি এলাকার কাছাকাছি অবতরণ করতে পারেনি। পায়ে হেঁটে উদ্ধারকারী দলগুলো মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য সেখানে গেছে।’

এর আগে মানাং এয়ারের রাজু নেউপানে এএফপিকে বলেছিলেন, ‘তদন্তের প্রচেষ্টা চলছে। অনুসন্ধানের জন্য আমরা আরেকটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছি।’

দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

বিমান চলাচলের দুর্বল নিরাপত্তার জন্য কুখ্যাত নেপাল। প্রায় ছয় মাস আগে পশ্চিম নেপালে একটি বিমান দুর্ঘটনা হয় যেখানে বোর্ডে থাকা ৭২ জনের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও গত মে মাসে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য মালামাল নামানোর সময় পূর্ব নেপালে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে একজন নিহত এবং চারজন আহত হন।

হিমালয়ের দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম এবং জটিল রানওয়ে রয়েছে, যেখানে তুষার-ঢাকা চূড়ার পাশাপাশি এমন পরিবেশ রয়েছে যার ফলে দক্ষ পাইলটরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।

পাহাড়ে আবহাওয়াও দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে যার কারণে আকাশ পথে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কারণে নেপালের বিমান চালনা খাতে দুর্বল নিরাপত্তা লক্ষণীয় বলে বিশ্লেষকদের মত।

২০১৮ সালে কাঠমান্ডুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত এবং ২০ জন গুরুতর আহত হয়।

১৯৯২ সালে নেপালের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে থাকা ১৬৭ জনের সবাই মারা যায়।

মাত্র দুই মাস আগে একই বিমানবন্দরের কাছে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১১৩ জন নিহত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপত্তা উদ্বেগের জন্য তাদের আকাশসীমা থেকে সমস্ত নেপালি ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :