ফরিদপুরে আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা, যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

নুরুল ইসলাম, সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর)
 | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০৯

সড়কের পিচঢালাই উঠে বেরিয়ে গেছে নিচের খোয়া-সুরকি ও কাঁদামাটি। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। বৃষ্টি নামলেই তাতে জমে থাকে পানি। আবার কোথাও দেখা মেলে প্যাচপ্যাচে কাঁদার। দেখে বোঝার উপায় নেই এটা পাকা সড়ক না জলাশয়। সড়কের ওই কাঁদাপানির ভেতর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো যানবাহন। আর সড়কের দুই পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে যারা চলাচল করছে, তাদের জামাকাপড় কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।

এমন চিত্রের দেখা মিলেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা-রসুলপুর পাকা সড়কে। একই চিত্র দেখা যায়, নগরকান্দা-সালথা সড়কের হরিনা এলাকায়। এতে সড়ক দুটি দিয়ে চলাচলরত হাজারো যানবাহন ও মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

অন্যদিকে, একই অবস্থা সালথা-নগরকান্দা সড়কের। বিশেষ করে সালথার নারানদিয়া বাজার থেকে নগরকান্দা বাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই লাজুক। এই সড়কেরও বিভিন্ন স্থানে পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রবেশপথ এই দুটি সড়ক। সালথার মানুষ এই পথ দুটি ব্যবহার করে থাকেন। সড়ক দুটি খারাপ হওয়ায় এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালমা-রসুলপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে তালমা বাজারের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত সড়কের ভয়াবহ অবস্থা। রসুলপুর বাজারের পূর্বপাশের সড়কেরও একই অবস্থা দেখা যায়। এই দুটি বাজার এলাকায় সড়কের বড় বড় গর্তের ভেতরে কাঁদাপানি জমে থাকায় সাধারণ মানুষ স্যান্ডেল খুলে হাতে নিয়ে বাজার করছেন। সড়কের কাঁদাপানি ঠেলে সামনে এগোচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান-রিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য ট্রাক।

স্থানীয় কৃষক জালাল শেখ ও জব্বার মোল্যা বলেন, কয়েকটি ইউনিয়নবাসীর কাছে তালমা ও রসুলপুর বাজারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাটের দিন শত শত কৃষক কৃষিপণ্য বিক্রি করতে এই দুটি বাজারে যান। কিন্তু বাজার দুটির সড়কের যে অবস্থা তাতে তো পায়ে হেঁটেই চলা মুশকিল। তারপরও বাধ্য হয়ে কষ্ট করে মানুষ এই দুটি বাজারে যান। অন্য বাজারে কৃষকের পণ্য বিক্রি করতে দ্বিগুণ খরচ হয়। তাছাড়া যারা বাজার করতে আসেন, তারা পায়ে স্যান্ডেল রাখতে পারেন না। স্যান্ডেল হাতে নিয়ে বাজারে ঢুকতে হয়। অনেক সময় গাড়ির চাকার কাঁদাপানি ছিটে এসে মানুষের জামাকাপড় নষ্ট হয়। কয়েক বছর ধরে এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।

সড়কের ভ্যান চালক মিলন মিয়া ও অটোচালক শাহ আলম বলেন, পেটের তাগিদে এই সড়কে গাড়ি চালাই। সড়কের যে অবস্থা তাতে এই সড়কে গাড়ি চালানোর কায়দা নেই। মাঝে মাঝেই বাজারের ভেতরে বড় বড় গর্তে গাড়ির চাকা আটকে যায়। অনেক সময় গাড়ি উল্টেও পড়ে যায়। সড়কটি গত কয়েক বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মানুষের কাছে শুধু শুনি সড়কের কাজ শুরু হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সড়কের কাজ আর শুরু হলো না। সড়কটি সংস্কার করা হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে। তাই সরকারের কাছে সড়কটি সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানাই।

তালমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইট ফেলে কয়েকবার সড়কটি মেরামত করেছি। সড়কটির বিষয় উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।

নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তালমা-রসুলপুর সড়ক ও সালথা-নগরকান্দা সড়কের সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ইতোমধ্যে সড়ক দুটি সংস্কারের জন্য অনুমোদনও হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ অক্টোবর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন: সম্পদে ছাত্রলীগ নেতা, মামলায় এগিয়ে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা

তরুণীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় স্বামী জেলহাজতে

সরাইলে অটোরিকশা চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

গজারিয়া নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার 

কোম্পানীগঞ্জে ইউপি সদস্য পদে উপনির্বাচন  সম্পন্ন

গজারিয়ায় ডাকাত রাসেল গ্রেপ্তার 

রাষ্ট্রের সকল জনগণের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: আমু 

অসুস্থ বাবাকে দেখতে চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন করলো স্বামী

সিরাজদিখানে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ৬ শিক্ষার্থী 

পটুয়াখালীতে খালে ভেসে এলো অচেনা বস্তু, ধারণা ‘টর্পেডো’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :