যুক্তরাষ্ট্রে ৩ ফিলিস্তিনি ছাত্রকে গুলি
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে তিন ফিলিস্তিনি ছাত্রকে গুলি করা হয়েছে। এই হামলাকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে তদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রদের পরিবার।
সোমবার বালিংটন পুলিশের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার তিন শিক্ষার্থীকে ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছেই গুলি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই তিন ছাত্র হলেন, হিশাম আওয়ারতনী, তাসনিম আহমেদ এবং কিন্নান আবদাল হামিদ। ওই তিন ছাত্র কেফিয়্যাহ পরা অবস্থায় ছিল এবং তারা আরবিতে কথা বলতো। গুলি করার সময়ও তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কেফিয়্যাহ পরা ছিল।
বন্দুকধারী গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে, ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। দ্রুত তাদে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
বালিংটন পুলিশ প্রধান জন মুরা বলেন, গুলিবিদ্ধ তিন ছাত্রদের মধ্যে দুজনের অবস্থা কিছুটা ভালো, কিন্তু বাকি একজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে তিন ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, তারা তিনজনই রামাল্লাহ ফ্রেন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী। স্কুলটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর স্বজন রিচ প্রিন্স জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ ওই তিন শিক্ষার্থীর বয়স ২০ বছর। একটি আট বছর বয়সী শিশুর জন্মদিনের পার্টি থেকে ফিরছিলেন।
এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের একটি বিবৃতি সামনে এনেছে। ফিলিস্তিনপন্থি অলাভজনক সংস্থা মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর মাধ্যমে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘এই হামলাকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসাবে বিবেচনাসহ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাই।’
বিবৃতিতে তারা আরও বলেছেন, ‘হামলাকারীকে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা স্বস্তি পাবো না।’
আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিল হামলাকারীর তথ্য দেওয়ার জন্য ১০ হাজার ডলার পুরস্কারের প্রস্তাব করছে।
ভারমন্ট সিনেটর এবং সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি বলেন, তিন ফিলিস্তিনি ছাত্রদের গুলির ঘটনায় হতাশ। ভারমন্টে এ ধরনের ঘটনার ছাড় নেই।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এমআর/এআর)