ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতা যেনো কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে বাংলাদেশের। ফরম্যাট, ভেন্যু কিংবা প্রতিপক্ষ বদলালেও বদলায় না বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্র। প্রত্যেক ম্যাচেই একই গল্প। বাংলাদেশ তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। যার ফলে ৯৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপরেই জুটি গড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও শেখ মেহেদী হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটির ৪৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৪৮ রান।
বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। প্রথম দুই ওভারেই তারা তুলে নেন ১৫ রান। তবে পরের ওভারেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে আকিল হোসেইনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। তার বিদায়ে ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর একই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাসও। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই ব্যর্থ লিটন দাস। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিনি। যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে প্রচুর। ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন।
আজ ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই বোলার আকিলের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হয়েছেন লিটন দাস।তার বিদায়ে ১৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপরেই আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে বেশিদূর আগানোর আগেই এই জুটিকে থামান রোস্টন চেজ। রোস্টন চেজের বলে থার্ড ম্যানে আকিল হোসেইনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আউট হওয়ার আগে করেন ১১ বলে ৮ রান। তার বিদায়ে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
৩০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও জাকের আলী অনিক। এই জুটিতে ভর করে শুরুর ধাক্কা কিছুটা উঠতে থাকে বাংলাদেশ। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান রোমারিও শেফার্ড। রোমারিও শেফার্ডের বলে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান জাকের। আউট হওয়ার আগে করেন ২৭ বলে ২৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
জাকেরের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান একপ্রান্ত আগলে রাখা সৌম্য সরকার। ৩২ বলে ৪৩ রান করে ওবেড ম্যাককয়ের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন শেখ মেহেদী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। শেখ মেহেদি হাসান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে ঝড়ো ইনিংস খেলেন শামিম হোসেন। ৩ ছক্কা ও ১ চারে দুইশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ১৩ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলে শেষ ওভারে থামেন শামীম। মেহেদি অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রানে। তাতে উইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৮ রানের। আকিল ও ম্যাকয় দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে শিকার ধরেন রোস্টন ও শেফার্ড।
(ঢাকাটাইমস/১৬ ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন