হলুদ খামের চিঠি
তোমার জন্য...
আজ ভোর,থেকে থেমে থেমে বাতাস
বন্যপাখিদের কিচিরমিচিরে
মুখরিত প্রতিটি প্রহর।
মৌন স্থির প্রকৃতি, ঝলমলে আলো
জানিয়ে দিচ্ছে...
তুমি এসেছো। কোন এক বাগান থেকে
রাতের ফুল হয়ে। মর্ত্যের প্রভাতে।
আজ থেমে গেছে বৃষ্টি
আকাশ ছেয়ে গেছে আরও নীলে
পৃথিবীর পথে পথে সেই নীল,
সেই আলোর উৎস হয়ে তুমি এসেছো বনফুল-
প্রেমের মৃদু স্পর্শ দিতে।
প্রেমাঞ্জলি দিয়ে যাই তোমাকে বনফুল।
সন্ধ্যাতারা, গোধূলীর রাঙা প্রহরে
তোমার অস্পষ্ট ছায়া
আসন্ন রাত্রির প্রজাপতি হয়ে
পৃথিবীর ফুলেল উৎসবকে রাঙিয়ে যায় আজ।
পেছনে পরে থাকে অন্ধকার
মন খারাপের বিষন্ন দাগ।
পৃথিবীর পাপহীন আয়োজন
মুছিয়ে দিয়েছে যত দুঃখ।
এই রাতে সবাই জেনে গেছে
তুমি এসেছো।
তুমি এসেছো বনফুল।
থেমে যাওয়া দিন-রাত্রি
যতক্ষণ দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস এসে দাঁড়াবে দরজায়
যতক্ষন শিশির কণার আঘাতে পায়ের আলতা মিশে যাবে
সোনালী মাটির শস্য দানায়,
দুর্বাঘাসের আচ্ছাদন ঢেকে যাবে আলতার রঙে,
পোড়া রঙের তীব্র দহনে বাতাস ভারী হয়ে উঠলে-
একদিন শরিরের স্পন্দন থামিয়ে, আমাদের প্রেম
পৃথিবীর যাবতীয় রসবোধ ছাপিয়ে, জীবনের গানে,
এই মর্ত্যের সমুদ্র থেকে আকাশের নীলে ছড়িয়ে দিবে তার তেজ।
বন্ধ পাখা খুলে জানালা ও জোৎস্ন্যার সঙ্গে
খেলা করবে আগামী।
সেদিন ভোরের বাতাস থেকে নেমে আসা সুঘ্রাণ
ডেকে যাবে শুধু আমাকেই
আমারই বিপন্ন রাত্রির স্মৃতি-
তোমার সংগোপন ব্যথার একমাত্র উৎস হয়ে,
অমরত্ব দেবে বিরহের সব যাতনা।