গল্প

ব্র্যাকেটের জগৎ

ধ্রুব এষ
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২০, ১০:৫৮ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২০, ১০:৫৩

গত মাসে ঘোড়া মাসুদ একটা বই উপহার দিছে আমারে। ঘোড়া মাসুদ এবং বই, এমনিতেই সাসপিশাস ঘটনা। তা আবার কবিতার বই। কবির নাম সৈয়দা সায়মা (আশ্বিন)। বইয়ের নাম ‘বনো নুই পঙ্খি’। বনো নুই ফরাসি। মানে গুড নাইট। শুভরাত্রি। শুভরাত্রি পঙ্খি!

‘ঘটনা কী তোর?’

‘কিসের ঘটনা।’

‘আগে দ্বিতীয় ঘটনা বল। সৈয়দা সায়মা আশ্বিনটা কে?’

‘কে মানে? কবি।’

‘তোর পরিচিত?’

‘পরিচিত হইলে তোর সমস্যা আছে?’

‘না, নাই।’

‘পরিচিত। প্রথম ঘটনা কী বল এখন।’

‘কথা নাই বার্তা নাই তুই আমারে বই গিফট করলি কেন?’

‘কথা আছে বার্তা আছে বলে বই গিফট করতে হয় এই কথা আমি জন্মে শুনি নাই। তুই তো বাংলা কবিতার বিদগ্ধ পাঠক মনে করিস নিজেরে। এর কবিতা তুই আগে পড়ছিস?’

‘পড়ি নাই।’

‘পড়িস।’

‘পড়ব।’

ঘোড়া মাসুদ বই উপহার দিছে, আবার বলছে সেই বই পড়তে। অবশ্যই পড়ব। কিন্তু পড়ি নাই এত দিনেও। সময় পাই নাই। এখন পড়তেছি। ভালো লাগতেছে।

হেমন্তের আজব সব দিন চলে গেছে কিছু দিন আগে। শীত লাফ দিয়া পড়ছে এর মধ্যে। ভালো। বহুদিন পর ঢাকায় কনকনে ঠান্ডা। বহুদিন না, বহু বছর। আমি একটা টাকিলা রাখছিলাম। সৈয়দা সায়মা (আশ্বিন)Ñএর বই পড়ে, পান্থ উন্মাদরে কল দিলাম। পান্থ উন্মাদ কল রিসিভ করেই বলল, ‘দাদা একটা বিরাট সমস্যায় পড়ছি। ৯২ কেজি ওজনের একটা মানুষরে কাটলে সলিড মাংস পাব কতটুক, আপনার কোনো আইডিয়া আছে? ফেসবুকে আমার এক ক্যানিবল বন্ধু আছে। অত্যন্ত গোপনে বাস করে তারা। অত্যন্ত গোপনে মানুষ কেটে যায়। শম্পা ভাবিরে আপনি দেখছেন না? তার দুই তিনটা ছবি আমার গ্যালারিতে দেখে কিহো উতলা হইছে। আমারে ইনবক্স করছে, ইহা খুবই সুস্বাদু হইবে। কিহো আমার সেই ক্যানিবল বন্ধুর নাম, দাদা। তার বাবা তাদের গোত্র প্রধান নাথা। ৮৩ বছর বয়েস। নাথাও লাইক দিছেন শম্পা ভাবির ছবিতে। এর অর্থ কিন্তু একটাই, দাদা। বুঝতে পারতেছেন?’

না, পারি নাই। বুঝতে পারি নাই। তুই কি মানুষ না রেডিও স্টেশন? ডিইএফ রেডিওর আরজে ম্যাশও (না শেষ?) এত কথা বলে না!

‘আমি কি কসাই, পান্থ? না মাংসের দোকানে যাই?’

‘স্যরি দাদা। কিহো নক করে তো বারবার। কী বলব বুঝতে পারি না। বেচারা বিরাট আশা নিয়া আছে। তার গোত্র বিরাট আশা নিয়া আছে। মুশকিল কী দাদা, মানুষ কাটে এই রকম কোনো কসাইরে তো আমি চিনি না।’

‘এবাদুর চিনে। সামান্য পাড়ার উজির কসাই। তার মোবাইল ফোনের নম্বর এবাদুরের কাছে পাবা।’

‘থ্যাংক ইউ দাদা! থ্যাংক ইউ! থ্যাংক ইউ! এজন্য দাদা আপনাকে বলি আনডেড জিনিয়াস। কত যে ইনফরমেশন রাখেন। আর আপনার স্মৃতিশক্তি।’

‘অত্যন্ত দুর্বল, পান্থ। ইনফরমেশন আর জ্ঞান এক না। লালন ফকির মুসলমান না হিন্দু বলো তো?’

‘লালন ফকির? স্যরি দাদা বলতে পারব না। আপনে কি দাদা গৌতম ঘোষের মনের মানুষ সিনেমাটা দেখছেন? আমার এক কবি বন্ধু আছে, বছরের আট মাস পড়ে থাকে ছেউড়িয়ায়, সে বলছে সিনেমাটা কিছুই হয় নাই।’

‘আমি সিনেমা বুঝি না পান্থ। মনের মানুষ দেখি নাই। তুমি এখন কোথায়? কী করতেছ?’

‘এই একটু বসে আছি, দাদা। কফিশপে, বুঝছেন না, ঠান্ডা তো পড়ছে, বাসায়ই ছিলাম। এই একটু নামলাম। সাথে এক বন্ধু আছে আর কি।’

‘গার্লফ্রেন্ড! তুমি ফুল না, হাফও না, টু থার্ড উন্মাদ পান্থ। গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে বসে তুমি আমার লগে গ্যাটিসবার্গ অ্যাড্রেস দিতেছো? রাখো মিয়া!’

আমি ফোনের লাইন কেটে দিলাম এবং মুনশিকে কল দিলাম।

কল ধর মুনশি! কল ধর! কল ধর!

মুনশি ধরল না।

আবার কল দিলাম।

মুনশি ধরল, ‘রয়্যাল স্যালুট, গুরু।’

‘চড়িয়ে তোমার দাঁত ফেলে দেব, বেয়াদব। তুই কোথায়? টাকিলা খাবি? স্যান হোযে টাকিলা?’

‘টাকিলাহ্!’

‘হ্যাঁ। খাবি?’

‘নিশ্চয় গুরু।’

‘আয় তাহলে।’

‘নিশ্চয় গুরু।’

মুনশিকে আমি বলি এই পৃথিবীতে আমার একমাত্র মুরিদ। ঢাকা থেকে ছয় ঘণ্টা দূরের উপকূলবর্তী এক শহরের মেয়ে সে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি পড়ে। সিট আছে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে। হলে থাকে না। সাবলেট থাকে এক বুড়াবুড়ির সঙ্গে। মুনশির মা-বাপ অবশ্য এই কাহিনি জানে না। তারা জানে মেয়ে হলেই থাকে। এজন্য বুড়াবুড়ির বাসায় থাকলে কখনো মা-বাপকে ভিডিও কল দেয় না মুনশি।

‘বাকুম’ হলে তুপা থাকে। প্রাণের সখী মুনশির। তার সঙ্গে দেখা করতে কখনো সখনো ‘বাকুম’ হলে যায় মুনশি। তখন ভিডিও কল দেয় মা-বাপকে। তুপার রুমে তুপার খাটে বসে। দুই বছর ধরে এভাবে চালাচ্ছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ১। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের নাম ‘বাকুম’ হল আমি দিই নাই। মুনশিই দিছে এবং মুনশির নাম মুনশি না আদৌ। তাহমিনা। মুনশি নাম তার মা রাখছে। এই রকম আরো একটা নাম তার আছে। সেটা হইলআলী বাবা। বন্ধুরা ডাকে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ২। হইল, মুনশির বয়ফ্রেন্ড নাই। আশপাশের ছেলেগুলোকে তার রোবট এবং অমানুষ মনে হয়। অমানুষ বলতে মানুষ না যেন, চলন্ত ক্যারিয়ার গাইড বই একেকটা।

‘এহ্ গুরু, তোমার বয়স আর ৩০ বছর কম হইলে আমি তোমারে বিয়া করতাম।’

‘ঝাঁটা মারি তোর বিয়ার কপালে। আমি তোরে বিয়া করতাম না।’

‘আমি তোমারে ট্র্যাপ করতাম। হি! হি! হি!’

‘দুর বদমাইশ!’

মুনশি থাকে পূর্ব রামপুরার দিকে। শেয়ার রাইডে আসবে। ঘণ্টাখানেক লাগার কথা তাইলে। আমি তারে ফোন দিছিলাম ৬টা ২২-এ। ৭টা ২৮-২৯ হয়ে যাচ্ছে, কলবেল বাজল। মুনশি?

মুনশি।

‘কী-ই-ই?’

শান্ত সভ্য মুনশি। জলপাই সবুজ চাদর, গেরুয়া ফতুয়া, নীল জিন্সের প্যান্ট পরে আছে। চোখে চশমা। দেখে কেউ চিন্তাও করবে না এ কী জিনিস! কত বড় টাউট! এখন হাসল। হাত জোড় করে বলল, ‘জয় গুরু!’

আমি তথাস্তু মার্কা একটা ভাব নিলাম, ‘আয়।’

‘তোমার অপার দয়া গুরু।’

‘টাউট।’

মুনশি হি হি করে হাসল। আমার মনে হলো কিছু একটা আমি মিস করে গেলাম।

দরজা লক করে মুনশি বসল। ওরে বাবা! তার স্লিপার দুইটা দেখি মহা রঙিন। বর্মা মুল্লুকের। দরজার কাছে রাখছে। আরে, এত ঠান্ডা কেন ঘর? একটু আগেও এত ঠান্ডা তো ছিল না। মুনশি কি পৃথিবীর সব ঠান্ডা নিয়া ঘরে ইন করছে নাকি? এহ্!

মুনশি টাকিলার বোতল এবং বোতলের সাইজ দেখে খুশি হইল। বলল, ‘সারা রাত চলবে।’

‘মোটেও না। তিনটা পাবি। ইভন নট আ স্মল ফর দ্য রোড।’

‘কী! কী-কী-কী? এই শীতে তুমি ডাক দিছ গুরু, আসলাম, তার পরিণাম এই ভয়ংকর অপমান? ডেকে এনে তুমি আমারে এমন অপমান করতে পারলা? আমি কুইট করলাম, সিনর গুরু। কত আশা করে আসলাম। ইস!’

‘আশা করতে নাই, বৎস্য। আশা করলেই নিরাশ হতে হয়। মানুষ তার আশার সমান বড়, দুনিয়ার সেরা ফুক্কা কথা এইটা। ভূমিদস্যু নিজাম আদেলরে দেখছিস? ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি হাইট। বডিগার্ড বাহিনী নিয়া চলাফেরা করে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি হাইট না হইলে বডিগার্ড নিয়োগ দেয় না। এই নিজাম আদেলের আশা কি ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি?’

‘নিজাম আদেলের আশা নিয়া কিছু বলার মতো ভাষা আমার নাই, গুরু। আমার আশা পূরণ হইলো না, আমি যাই। মিথিলারা বাসায় পার্টি করতেছে।’

‘কোন মিথিলা? ফরগেট মি নট মিথিলা?’

‘ফরগেট মি নট মিথিলা! হি-হি-হি! তুমি এমন চিন্তা করো কীভাবে? হি-হি-হি।’

‘ফরগেট মি নট ফুল দেখছিস?’

‘ফরগেট মি নট ফুল! জন্মে এই প্রথম শুনলাম। সত্যি এই নামের ফুল আছে নাকি?’

‘উড ফরগেট মি নট লিখে গুগলে সার্চ দিয়া দেখিস।’

‘আচ্ছা দেখব। আমি উঠলাম।’

বলে মুনশি উঠে পড়তে নিল।

‘আচ্ছা যা, তিনটা আর স্মল একটা।’

‘না।’

‘স্মল দুইটা।’

‘না।’

‘তিনটা চারটা ছয়টা আটটা? নয়টা?’

‘না। না। না।’

‘আচ্ছা যা এই বোতলটাই তোর।’

‘কী?’

‘হ্যাঁ। নিয়া যা। আমি আর এইসব খাব না।’

‘সে কী কথা গুরু? তোমারে ছাড়া আমি খাব কী করে?’

‘চুমুক দিয়া।’

‘মজা করো না। মজা করার উপযুক্ত সময় না এইটা।’

বলে মুনশি একটা কিরকম হাসল। টাকিলা ছাড়াই আমার সমস্ত রক্ত রিমঝিম করে উঠল তার হাসিতে। ঠান্ডা রিমঝিম। এই অনুভূতির বর্ণনা দুরূহ। এই রকম হইতেছে কেন?

আমার ফোন বাজল।

মুনশি বলল, ‘অ্যাই! খবরদার! তোমার বউয়ের ফোন হইলেও ধরবা না।’

‘আমার বউ। আমার বউ পাইলি কোনখানে তুই?’

‘বটগাছের ডালে। ফোন ধরো!’

আননোন নম্বর। ধরলাম, ‘হ্যালো?’

‘আমি শমিতা।’

কী? কী-কী-কী?

শমিতা!!!

শমিতা???

আবার বলল, ‘আমি শমিতা। তোমার ফোনে তো হোয়াটসঅ্যাপ নাই। থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিতাম।’

‘অ। আমার ফোনে কোনো অ্যাপই নাই।’

‘ছিল না কখনোই।’ শমিতা হাসল। শমিতাই এইটা।

‘তুমি শমিতা! তুমি কীভাবে?’

‘তুমি না ম্যাজিকের রহস্য জানতে পছন্দ করো?’

এইটা ঠিক। বিটিভিতে বরং পোলাপানের প্রাগৈতিহাসিক নর্তন কুর্দন দেখি, সিক্রেটস অব ম্যাজিক মার্কা অনুষ্ঠান আমার একেবারেই পছন্দ না। ম্যাজিকের রহস্য জেনে ফেললে আর ম্যাজিক দেখার মজা কিছু থাকে? কিন্তু শমিতা কি ম্যাজিক দেখাইতেছে নাকি? তাও তো না।

‘উঁ।’

‘বলো।’

‘তুমি যে কথা বলতেছো, এইটা কি ম্যাজিক?’

শমিতা হাসল, ‘কথা সব সময়ই ম্যাজিক।’

‘অ।’

‘মুনশিকে খুব পছন্দ করো তুমি।’

‘পছন্দ না, মায়া।’

‘হ্যাঁ, মায়া। সবই মায়া। মুনশিরে একটা কল দিয়া দেখো।’

‘মানে? ফোনে কল দেব কেন? সে তো।’

‘ তোমার সামনেই বসে আছে। কল দিয়া দেখো না একটা।’

শমিতার সব কথা কি আমি শুনতাম? প্রায় সব কথাই শুনতাম। আজব এই কথাও শুনলাম। কল দিলাম মুনশির নম্বরে। কল যায়। ফোন সাইলেন্ট মুনশির? সাইলেন্ট মুডে রাখে সময় বিশেষে। ধরবে না? নাও ধরতে পারে। ঘরের মুনশি না, আরেকজন ধরল, ‘জি গুরু! কিছু আনতে হবে?’

‘তুই! কোথায়?’

‘আর বলো না, জ্যামে আটকে আছি। ফ্লাইওভারে জ্যাম। কারওয়ান বাজারে আগুন লাগছে। লাইভ দেখাইতেছে, দেখো টিভিতে।’

‘দেখতেছি। তুই আয়।’

‘নিশ্চয় গুরু। কল বেল দেব?’

‘দিবি না?’

‘না। শীতে আমি হাফ জমে গেছি। পকেট থেকে হাত বার করব না। তুমি দরজা খোলো।’

‘কী?’

‘দরজা খোলো।’

‘ওরে পাগলের ঝাড়, ঝাড়ের পাগল, তুই এখন ঠিক কোথায় বল তো?’

‘ওররে! তোমার ঘরের দরজায় রে বাবা!’

‘কী?’

‘দরজা খোলো!’

দরজা খুলে দেখলাম মুনশিকে। হুডি, জিন্সের প্যান্ট আর স্লিপার পরে আছে। ঘরে ঢুকল, ‘কী আশ্চর্য! কার স্লিপার? এত রঙিন!’

আরেক মুনশির! মুনশিকে বলব? সেই মুনশি ঘরে নাই আর। স্লিপার রেখে অদৃশ্য হয়ে গেছে!

কত কি ঘটে। আমার ঘরে আরেক মুনশি বসে থাকে, আমি কথা বলি শমিতার সঙ্গে, তর্ক করি ঘোড়া মাসুদের সঙ্গে, টাকিলা অফার করি পান্থ উন্মাদকে, এই পৃথিবীতে যারা নাই আর।

কেউ থাকে না। আমিও থাকব না।

মুনশি বলল, ‘আরে! কী করছো তুমি?’

‘আমি! কী করলাম?’

‘স্লিপার দুইটা!’

আমিও দেখলাম। রঙিন স্লিপার দুইটা নাই। বললাম, ‘নিয়া গেছে।’

‘কে নিয়া গেছে? কী বলতেছ!’

‘বোতল খোল।’

মুনশি স্যান হোযে অবমুক্ত করল।

স্বভাবকবি ছিল পান্থ উন্মাদ। দারুণ পানানুকাব্য বানাতে পারতো। হুইস্কি কাব্য, ভডকা কাব্য, জিন কাব্য, টাকিলা কাব্য। উদাহরণ,

মেহিকান টাকিলার

ছোটো ছোটো গ্লাস

স্কচ জিন রাম নয় এ

বুঝে শুনে খাস।

আর বোঝা, আর শোনা! স্যান হোযের এক শট, দুই শট, তিন শট।... চার শট। আমাদের ধরল।... ছয় শট... আট শট। আমাদের আরো ধরল। মেহিকান ধরা।... নয় শট, ... এগার শট। আরো ধরল এবং ঘুমও ধরল। আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম এবং আমাদের আর কিছুই মনে থাকল না। কাল আরেকটা সকাল হবে এবং আমি দুপুরে ঘুম থেকে উঠব। উঠে যদি দেখি মুনশি না, আমার ড্রয়িংরুমে শুয়ে আছে সৈয়দা সায়মা, ব্র্যাকেটে আশ্বিন, যদিও আমি তাকে কখনো দেখি নাই, ‘বনো নুই পঙ্খি’ বইয়ের ফ্ল্যাপে কোনো ছবি নাই তার, আমার ড্রয়িংরুমে তাকে ঘুমন্ত দেখে, আমি কি খুব আশ্চর্য হবো?

না। কেননা আমি এই ব্র্যাকেটের জগতেই থাকি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :