থমথমে রাবি, রেজিস্ট্রার ও পুলিশের দুই মামলায় আসামি ৭০০

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও পুলিশের দুই মামলায় অজ্ঞাত নামা অন্তত ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার বিকালে ও রাতে মতিহার থানায় মামলা দুটি করা হয়।

বিকালে করা মামালাটির বাদী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম। এ মামলায় বিনোদপুর এলাকার ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে রাতে অপর একটি মামলা করা হয়। এ মামলার বাদী মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমানত উল্লাহ। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টায় মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় মো. তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নগরের খোঁজাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বাসের কাউন্টারের চেইনমাস্টার। গ্রেপ্তার তসলিম প্রথমে শিক্ষার্থীদের আঘাত করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক বাস চালকের তরকাতর্কির সূত্র ধরে রাজশাহীর নগরের বিনোদপুর বাজারে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লোকজন এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। হামলা-সংঘর্ষ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি পুলিশ বক্স ও রাস্তার ধারের অন্তত ৩০টি দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯০ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন এক শিক্ষার্থী। ছয়জন শিক্ষার্থীর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

এদিকে, এ সংঘর্ষের ঘটনার জেরে এখনও ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি শুরু হয়নি। তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা একেবারেই কম।

এদিকে রবিবার সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও সোমবার সকাল থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

অটোরিকশা, সিএনজিচালিত গাড়ি, ব্যক্তিত প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে শনিবার সন্ধ্যা থেকে এই মহাসড়কে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে বাইপাস সড়ক দিয়ে বড় যানবাহন চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে আজও বন্ধ রয়েছে বিনোদপুর বাজারের সব দোকানপাট।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, বিনোদপুর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বাজারটিতে। অনেক দোকানিকে তার দোকানের সামনে বসে থাকতে দেখা গেলেও তারা কেউই দোকান খোলেননি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :