মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশাচালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, ১৭:২৯ | প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০২৩, ১৭:১৭

বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশাচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।

রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক জাহিদুল ইসলাম। তার ছেলে চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এবার চান মিঞা বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে এই মেধাবী শিক্ষার্থী।

চান মিঞার পরিবারের অর্থ সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে নির্দেশ দেন চান মিঞার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। মেয়রের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে চান মিঞার বাড়িতে যান মেয়রের সহকারী। তিনি জানান রাসিক মেয়র ব্যক্তিগত উদ্যোগে চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সব খরচের দায়িত্ব নেবেন। এরপরই হাসি ফোটে মেধাবী চান মিঞা ও তার রিকশাচালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ চান মিঞার পরিবার।

চান মিঞার বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য প্রয়োজন আরো প্রায় এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতোগুলো টাকা জোগাড় করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা মেয়র মহোদয়ের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

চান মিঞার মাতা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র মহোদয় যদি আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।

চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য অনেক খুশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আমার বিশ্বাস ছিল, যদি সংবাদটি মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান স্যার দেখেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আমার জন্য কিছু করবেন। মেয়র স্যার আমার ভর্তিসহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :