বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি: বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, ১৫:৩৩ | প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২৩, ১৪:৪৪

এক যুগেরও বেশি সময় আগে বেসিক ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির আলোচিত ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় সবমিলিয়ে ৫৯টি মামলায় ১৪৭ জন আসামির বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দিল দুদক। অভিযোগপত্রে আসামিদের মধ্যে বাচ্চুসহ ব্যাংকের কর্মকর্তা ৪৬ জন। আর ১০১ জন গ্রাহক।

কমিশন সচিব মো. মাহবুব হোসেন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বেসিক ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সবকটি মামলার অভিযোগ অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। বিকালের মধ্যেই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।’

‘মোট ৫৯টি মামলায় ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়। আসামিদের মধ্যে ৪৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ জন গ্রাহক।’

দুদক সচিব জানান, দুদকের পাঁচজন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাগুলো তদন্ত করেন। তারা হচ্ছেন, দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. মোনায়েম হোসেন, মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান এবং মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার পাঁচ বছরে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

এই বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দুদকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ১২০ জনকে আসামি করে মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক।

সেসময় এসব মামলায় ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামসহ ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮২ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। পরে আরও তিনটি মামলা করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

তবে সেসময় আলোচিত ওই জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হলেও দুদকের কোনো মামলাতেই তাকে আসামি করা হয়নি। অনুসন্ধানকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদেও ডাকেনি দুদক।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের নিয়োগ করা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে অনিয়মিত ঋণ মঞ্জুর, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে পরিচালনা পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা ছিল।

২০১৭ সালের আগস্টে এক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদকে আসামি না করায় উষ্মা প্রকাশ করেন।

পরে আদালতের এক আদেশের পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাচ্চুকে প্রথমবারের মতো তলব করে দুদক। পরে বাচ্চুসহ বেসিক ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

(ঢাকাটাইমস/১২জুন/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

এবার এলজিইডির মুজিবুর সিকদারের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতেন সুমাইয়া, অবশেষে গ্রেপ্তার

ডাকাতি করতে গিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার

ভেজাল শিশুখাদ্য তৈরি, জেনেরিক অ্যাগ্রোকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

হেফাজতে নারীর মৃত্যু: র‌্যাব-১৪ অধিনায়ককে সরানো হচ্ছে?

পাবজি খেলার লোভ দেখিয়ে ৩০ শিশুকে বলাৎকার, যুব অধিকার পরিষদ নেতা গ্রেপ্তার

রাজধানীতে সাড়ে ৮ হাজার লিটার বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার ৩

সংসদ ভবন এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী খুন

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভনে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতেন নিউটন: র‌্যাব

হেফাজতে নারীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে র‍্যাব: মুখপাত্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :