মিয়ানমারে তীব্র গোলাগুলি

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২ | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৮

বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাদের তীব্র গোলাগুলির জেরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনকালে এ নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলছে। এ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থী ও সীমান্তের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের (২৪০ পরিবার) নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিন বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বিকাল ৩টায় নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট পরির্দশন করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে যান তারা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জলপাইতলী এলাকা যান তারা। সেখানে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে নিহত হোসনে আরার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি। সেই সঙ্গে প্রশাসনে পক্ষ থেকে হোসনে আরার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন। পরির্দশন শেষে সার্বিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তের ওপর থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে নাইক্ষ্যংছড়িতে দুইজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার মুখে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে দফায় দফায় প্রবেশ করতে শুরু করেন বিজিপি সদস্যরা।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গত তিন দিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ২৬৪ জন। তার মধ্যে দুইশ জনের বেশি বিজিপি সদস্য। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :