প্রধানমন্ত্রীকে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার ধন্যবাদ
চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তাকে দেখতে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলী লেনিনের মাধ্যমে সে এই ধন্যবাদ জানায়।
জুলফিকার আলীকে মুক্তা বলে, ‘আপনি উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) গিয়ে বলবেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
গত কিছুদিন ধরে বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোরী মুক্তার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের সন্তান মুক্তার রোগ শনাক্ত করতে পারেননি স্থানীয় চিকিৎসকরা।
গণমাধ্যমের খবরের পর তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য অনেকেই এগিয়ে আসেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী তার সার্বিক চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার কথা বলেন। পরে মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।
দুই দিন ধরে মুক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। এর ফলাফল দেখে তাকে তিন দিনে তিন ব্যাগ রক্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুক্তার চারটি সম্ভাব্য রোগের মধ্যে একটি হয়েছে বলে ধারণা তাদের। এগুলো হলো- Dermal vascular malformation (চর্ম সংবহনতান্ত্রিক বিকলাঙ্গতা), Lymphatic malformation (লসিকানালী/ রসবাহী নালীর বিকলাঙ্গতা), Neurofibromatosis (একটি জিনগত ব্যাধি যা স্নায়ু টিস্যুতে টিউমার তৈরি করে) এবং Congenital hyperkeratosis (বহির্বিভাগ অর্থাৎ বহিঃত্বক কোষ পুরু থেকে পুরুতর হওয়া)।
বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালে মুক্তাকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী লেনিন। তিনি মুক্তার মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি প্রধানমন্ত্রীকে চেনো?’ জবাবে মুক্তা বলে, চিনি।
এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘তার নাম কী?’ মুক্তার জবাব, শেখ হাসিনা।
জুলফিকার আলী লেনিন মুক্তাকে বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করি। তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তোমার চিকিৎসার জন্য। তোমার ভয় নেই। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’
পরে মুক্তা জুলফিকার আলীকে বলেন, ‘আপনি ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) গিয়ে বলবেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জুলফিকার লেনিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধপত্র হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। হাসপাতালে মুক্তামনির সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
এর বাইরে মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম হোসেনের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো নগদ টাকাও দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/বিইউ/ডব্লিউবি