স্ত্রী-ছেলে মিলেই হত্যা করেছিল নরেশ রবিদাসকে

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩

গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ি মাদারতলী ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরেশ রবিদাস (৪৫) নামে এক চর্মকারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

এ ঘটনায় লক্ষ্মী রানি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের তদন্তে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নরেশ মাদক সেবনের পর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে নরেশের স্ত্রী ছেলে মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন তারা।

ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী সান্ত্বনা রবিদাস (৩৮) ছেলে সুজন রবিদাসকে (২২) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে মা-ছেলে নরেশ রবিদাসকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আমিন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নরেশ রবিদাস চর্মকার পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করে শিশুদের খেলনা বিক্রি করতেন। এতে যা আয় হতো তার প্রায় সবটুকু তিনি মাদক সেবন (চোলাই মদ) করে খরচ করতেন। প্রতিদিন মাদক সেবন করে মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী সন্তানকে মারধর করতেন। এতে পরিবারের সদস্যরা সবাই তার ওপর অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে নরেশ মাদক সেবন করে বাড়িতে এসে পুত্রবধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এতে তার স্ত্রী ছেলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ালগাড়ি গ্রামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে নরেশ শিশুদের খেলনার দোকান দিয়েছিলেন। রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে কিছু সময় থাকার পর বাইরে চলে যান। সেই রাতে স্ত্রী সান্ত্বনা ছেলে সুজন নরেশকে খুঁজতে বের হন। তারা তুলশীগঙ্গা নদীর মাদারতলী ঘাটে নরেশকে একজনের সঙ্গে মাদক সেবন করতে দেখেন। ওই ব্যক্তি চলে গেলে নরেশ অচেতন হয়ে পড়ে যায়।

আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ছেলে সুজন তার বাবার গলা চেপে ধরে আর মা সান্ত্বনা মাফলার দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। একপর্যায়ে নরেশের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা বাড়িতে ফিরে যান। বাড়ি ফিরে গোয়াল ঘরে থাকা রশি কেটে এনে নরেশ রবিদাসের মরদেহ আমগাছে ঝুলিয়ে রাখেন।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, নরেশ রবিদাসের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। স্ত্রী ছেলে মিলে তাকে হত্যা করেছে। ঘটনায় নিহতের মা লক্ষ্মী রানি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় সান্ত্বনা সুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন: সম্পদে ছাত্রলীগ নেতা, মামলায় এগিয়ে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা

তরুণীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় স্বামী জেলহাজতে

সরাইলে অটোরিকশা চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

গজারিয়া নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার 

কোম্পানীগঞ্জে ইউপি সদস্য পদে উপনির্বাচন  সম্পন্ন

গজারিয়ায় ডাকাত রাসেল গ্রেপ্তার 

রাষ্ট্রের সকল জনগণের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: আমু 

অসুস্থ বাবাকে দেখতে চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন করলো স্বামী

সিরাজদিখানে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ৬ শিক্ষার্থী 

পটুয়াখালীতে খালে ভেসে এলো অচেনা বস্তু, ধারণা ‘টর্পেডো’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :