ইরান ও পাকিস্তানের যুদ্ধ হলে সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকবে কে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৪

সশস্ত্র সংঘাতের উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দিচ্ছে ইরান ও পাকিস্তান পাল্টা পাল্টি বিমান হামলা। সেখানে দুই দেশের অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। তবে উভয় দেশ বলেছে তারা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আক্রমণ করেছে।

তেহরান বলেছে, এটি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের শিবিরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং ইসলামাবাদ বলেছে, তারা বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আক্রমণ করেছে৷ একে অপরের মাটিতে হামলা চালানো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে যদি যুদ্ধ শুরু, তাহলে সামরিক শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকবে কোন দেশ?

সেনাবাহিনীর র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ইরানের থেকে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী তিন বিভাগেই এগিয়ে পাকিস্তান। সেনার শক্তির ক্রমতালিকায় বিশ্বের নবম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। সেখানে ইরানের স্থান ১৪।

ইরান সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৬ লাখ ১০ হাজার। সেখানে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্য ৬ লাখ ৫৪ হাজার। রিজার্ভ ফোর্সেও এগিয়ে পাকিস্তান। ইরানের সাড়ে তিন লাখ রিজার্ভ ফোর্স। পাকিস্তানে সাড়ে পাঁচ লাখ। প্যারামিলিটারি ফোর্সেও ইরানের থেকে এগিয়ে পাকিস্তান।

যদিও শুধু সেনার শক্তি দিয়েই কোনও দেশের শক্তি নির্ভর করে না। সেখানে সেনার শক্তির পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অর্থনৈতিক শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ। এই সব ক্ষেত্রে আবার পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে ইরান। এছাড়া পাকিস্তানের থেকে ইরানের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট অনেক বেশি। ডিফেন্স বাজেটেরপ নিরিখে পাকিস্তানের র‌্যাঙ্কিং ৪৭। ইরানের ৩৩।

বিমানবাহিনীর শক্তির নিরিখে পাকিস্তান এগিয়ে রয়েছে ইরানের থেকে। ইরানের হাতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ১৮৬। পাকিস্তানের ৩৮৭। ইরানের হাতে হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯। পাকিস্তানের হাতে ৩৫২। এর মধ্যে ৫৭ অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে পাকিস্তানের। ইরানের রয়েছে মাত্র ১৩টি। যুদ্ধের ট্যাঙ্কও ইরানের থেকে বেশি রয়েছে পাকিস্তানের। ইরানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা ১৯৯৬। পাকিস্তানের ৩৭৪২। যদিও আর্মড ভেহিক্যাল পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি রয়েছে ইরানের।এছাড়া নতুন প্রযুক্তির ড্রোন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে এগিয়ে ইরান।

তবে দুই দেশের কারও হাতেই কোনও এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার নেই। কিন্তু ইরানের কাছে অনেক বেশি সাবমেরিন রয়েছে পাকিস্তানের তুলনায়। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি। পাকিস্তানের ৮টি।

এদিকে পাকিস্তানের কাছে ১৬৫টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের এখনও কার্যকর পারমাণবিক অস্ত্রের নকশা বা উপযুক্ত বিস্ফোরক বিস্ফোরণ ব্যবস্থা নেই।

আবার বিমানবন্দর, নৌবন্দরের সংখ্যা পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি ইরানের। কিন্তু যুদ্ধের ভবিষ্যত সব সময় সামরিক শক্তির নিরিখে নির্ণয় হয় না। পরিস্থিতির উপরও তা নির্ভর করে। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-হামাসের পর এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে তার পরিণাম এশিয়ার মহাদেশের পক্ষে মোটেও সুখকর হবে না।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :