বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯

পাকিস্তানি গোয়েন্দা শাখার তৈরিকৃত বঙ্গবন্ধুর গোয়েন্দা ফাইলগুলোর প্রথম খণ্ড নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’। ফাইলগুলোর ১৪ খণ্ডের সম্পাদিত বইয়ের ‘প্রথম খণ্ড ১৯৪৮-১৯৫০ সাল’ নিয়ে ডকু-ফিকশনটি নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্রকার প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন।

জাতির পিতাকে নিয়ে বানানো এই ডকু-ফিকশনের প্রথম খণ্ডের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার। এদিন বিকাল চারটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রদর্শনী হবে এই ডকু-ফিকশনের। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

পরবর্তীতে ইউটিউব ও অনলাইনে দেখা যাবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখানো হবে এই ডকু-ফিকশনটি

‘ফাইল নম্বর ৬০৬’ সম্পর্কে পরিচালক তুহিন বলেন, ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের প্রথম খণ্ড নিয়ে এই শর্ট ফিল্মটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষকদের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের একটি সমৃদ্ধ উৎস হবে। কারণ এতে উন্মোচিত হয়েছে, কীভাবে সদ্য জন্ম নেওয়া পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি একান্তই ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা থাকায় নিজস্ব চেষ্টায় ও সবার ব্যক্তিগত সহযোগিতায় ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র চৌদ্দ খণ্ডের মধ্যে প্রথম খণ্ডটি নিয়ে এই প্রথম একটি ডকু-ফিকশন নির্মাণ করেছি। ভবিষ্যতে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে সবগুলো খণ্ডেরই ডকু-ফিকশন নির্মাণ করে দেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পৌঁছে দেব।’

এই ডকু-ফিকশন থেকে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালের মার্চে সদ্য জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রের ভাষা নিয়ে যে সময় তুমুল আলোচনা চলছিল, সে সময় শেখ মুজিবুর রহমানের বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। আলোচনার অংশ হিসেবে তার উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা।

পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (Intelligence Branch) প্রতিদিন প্রতি মুহূর্ত বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতে থাকে এবং তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো তাদের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে যায়। গোয়েন্দা বিভাগ এ সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৯৪৮ সালে ব্যক্তিগত ফাইল খোলে এবং তাতে সকল তথ্য সংরক্ষণ করা শুরু করে। যা ব্যক্তিগত ফাইল বা পিএফ নামে পরিচিত।

সেই ফাইলগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে চৌদ্দ খণ্ডের বইটি সম্পাদনা করেন।

মাত্র ২৮ বছরের এক তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) কোন প্রেক্ষাপটে পার্সোনাল ফাইল ওপেন করল, সেই সময়ের বাস্তবতা তুলে ধরে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র উপর বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কোন ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’।

পাকিস্তান স্বাধীনতার মাত্র ৫ মাসের মাথায় ১৯৪৮ সালের ১৩ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকার বর্ধমান হাউজে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের সভায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় মন্ত্রী আইআই চুন্ডিগড়সহ আব্দুর রব নিশতার, পীরজাদা আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

সভায় একটি পুস্তিকা বিলি করা হয়। এই পুস্তিকাটি শেখ মুজিবুর রহমান ও নাঈমুদ্দিন আহমদ কর্তৃক প্রকাশিত। পুস্তিকাটির শিরোনাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তানের দুর্ভাগা জনসাধারণ কৈফিয়ত দিতে হবে আমাদের দাবি।’ এই পুস্তিকাকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মতো গোয়েন্দাদের খাতায় নাম ওঠে শেখ মুজিবুর রহমানের।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/এলএম/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :