বইমেলায় শিশু প্রহরে দুরন্তপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫৬ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:১০

অমর একুশে বইমেলার দশম দিন ছিল শিশুপ্রহর। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে হাজারো শিশু। শিশুদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বইমেলা প্রাঙ্গণ। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ছিল বইপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা একটা পর্যন্ত নেচে গেয়ে তার মুখর করে তোলেন মেলা প্রাঙ্গণ।

বইমেলায় ঘুরে দেখা গেছে, হাজারো শিশু বাবা-মায়ের হাত ধরে বইমেলা ঘুরছেন আর বই কিনছেন। কেউ পায়ে হেটে আবার কেউ বাবার কাঁধে চড়ে মেলা ঘুরছেন। সকাল নয়টার আগেই মেলা প্রাঙ্গণ পরিণত হয় শিশুদের মিলনমেলায়।

মেলায় ঢুকে অনেক শিশুরা ফেটে পড়েন বাঁধাভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে। বিশেষ করে বটতলার সিসিমপুর স্টলে শিশুদের ভিড় ছিল দেখার মতো। এই স্টলে হালুমের গ্রামে যাওয়া, মজায় মজায় লিখি ও পড়ি, মিতু একদিন সিসিমপুরে, ঠাকুরমার ঝুলি, টুনটুনি যখন বড় হবে বই কিনছেন শিশুরা।

মেলায় এসে কেমন লাগছে জানতে চাইলে অনেক শিশু তাদের অনূভূতির কথা জানায়।

বাবা-মায়ের সঙ্গে গোপীবাগ থেকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন আট বছর বয়সী শিশু সুমাইয়া শারমিন। মেলা কেমন লাগছে জিজ্ঞাসা করলে ছোট্ট শিশুটি জানায়, ‘মেলায় এসে অনেক ভালো লাগছে। আমি অনেক বই কিনব।’ পাশেই মাথায় বইমেলার ব্যান্ড পরিয়ে দাঁড়িয়েছিল তার বন্ধু আসিফ। মেলায় এসে কেমন লাগছে বলতেই শিশুটি জানায়, অনেক ভালো লাগছে। অনেক মজার মজার বই কিনবো।

মিরপুর থেকে পরিবারসহ মেলায় এসেছেন জাহিদুর রহমান। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য সিসিমপুর স্টল থেকে ১০ থেকে ১২টি বই কিনেছি। এছাড়া বইমেলার সব প্রকাশনীর বুকলিস্ট সংগ্রহ করেছি। এসব বই পরে কিনে নিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, সন্তানদের লেখাপড়ায় যেন আগ্রহ জন্মায় সেজন্য প্রত্যেক অভিভাবকের তাদের সন্তানদের মেলায় আনা উচিত।

রতন চৌধুরী মগবাজার থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মেলায়। তার স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রতিবছর মেলার জন্য অপেক্ষা করি। আমার সন্তানের বয়স যখন চার বছর তখন থেকেই তাকে বইমেলায় আনি। এখন তার বয়স নয় বছর। মেলায় সে যে বই কিনতে চায় তাই কিনে দেই।’ এদিকে বিকাল তিনটায় সবার জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খুলে দেয়া হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া মেলা চলবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত।

সেমিনার: বিকাল চারটায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূচনা ও ১১ মার্চ ১৯৪৮ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আহমাদ মাযহার এবং মশিউর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/জেআর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :