আখাউড়ায় ১৫ বছর ধরে দেড় কিলোমিটার রাস্তা বেহাল

হান্নান খাদেম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
 | প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকি গ্রামের দেড় কিলোমিটার একটি রাস্তা ১৫ বছর বেহাল অবস্থায় আছে। সংস্কারের অভাবে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। সড়কের একটি ব্রিজের দুই দিকের এপ্রোচ মাটি সরে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কার এবং ব্রিজের দুই পাশের এপ্রোচ বরাবর মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। অন্তত সাতটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগকে সঙ্গী করে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।

জানা গেছে, উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া, টনকি, শিখারমোড়া, ঘাগুটিয়া ও জোরগ্রামবাড়িসহ অন্তত সাত গ্রামের মানুষকে নিত্যদিনের কাজে এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। কৃষি জমি ও বিলে যেতেও এই সড়ক দিয়ে। সড়কের মাঝে বড় বড় গর্ত ও ফাটাল থাকায় চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়।

মাষ্টার গ্রামের জহিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। বিজ্রের পাশের মাটিও সরে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচল করতে গিয়ে আমাদের কষ্ট করতে হয়।

শিকারমোড়া গ্রামের নূর হোসেন জানান, এই সড়ক দিয়ে রিকসা, ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন পায়ে হেঁটে চলাও অনেক কষ্টের।

তিনি সড়ক ও ব্রিজের দুই পাশে মেরামত করে এলাকাবাসীর চলাচলের উপযোগী করার জন্য জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামাল ভূইয়া জানান, রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারছে না। এটি বাজারে যাওয়ারও একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। চেয়ারম্যান থাকাকালে কয়েকবার সড়কটি মাপঝোক করিয়েছেন। সড়কের উন্নয়নের জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

স্থনীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিপ্তরের উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আখাউড়া উপজেলার অধীন টনকি-মাষ্টারপাড়া সড়কটির দৈঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে সড়কটির ২৩০ মিটার পাকা করা হয়। বাকিটা কাঁচা। রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য প্রকল্প করে আমরা দুই বছর জিওবি অধিদপ্তরে পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু নীতিমালা না কুলানোর কারণে সেটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে এ বছর আমরা বৃহত্তর কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রকল্প উন্নয়নের আওতায় পাঠিয়েছি। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই মন্ত্রণালয়ে তা অনুমোদন হয়ে যাবে। তাহলে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই রাস্তাটির উন্নয়নমূলক কাজ আমরা শুরু করতে পারবো।

(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :