বেশি ভাড়া: ফাঁকা দূরপাল্লার বাস কাউন্টার
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলোতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। তবে প্রতিবারের তুলনায় এবার কাউন্টারগুলোর চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। নেই কোনো ভিড়। ফাঁকা হয়ে আছে দূরপাল্লার কাউন্টারগুলো। অধিকাংশ দিনের যাত্রার গাড়িতেই ফাঁকা রয়েছে আসন। প্রতি বছরের তুলনায় এবার যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এই যাত্রীশূন্যতার কারণ ট্রেনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।
তবে ঈদের একদিন আগে ২০ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শেষ বলেও জানান তারা।
রবিবার রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, আজ তৃতীয় দিনের মতো ঈদ যাত্রায় অগ্রিম টিকিট দেওয়া হলেও বাস কাউন্টারগুলোতে এর কোনো প্রভাবই নেই। নেই যাত্রীদের কোনো আনাগোনা। অধিকাংশ কাউন্টারে পরিবহন শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন।
পরিবহন শ্রমিকদের ভাষ্য, এবার ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে অনলাইনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফলে চাপ কমেছে কাউন্টারে। যেসব টিকিট বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশই অনলাইনের। ফলে কেউই আসছেন না কাউন্টারে।
এছাড়া ট্রেনের টিকিট ও বাসের টিকিটের মূল্যে অনেকটা পার্থক্য থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন ভ্রমণে ঝুঁকছেন।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার কৃষ্ণ কুমার বলেন, ‘এবার টিকিট বিক্রির যে অবস্থা এমন অবস্থা এর আগে কোনো সময় হয়নি। এখনো অধিকাংশ গাড়িতে বেশিরভাগ আসনই পড়ে রয়েছে। যে টিকিটগুলো বিক্রি হয়েছে সেগুলোও অনলাইনে।’
যাত্রী না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এবার ট্রেনের টিকিট বেশি কাটছে। কারণ যেখানে বাসের ভাড়া এক হাজার টাকা সেখানে ট্রেন ভাড়া মাত্র ৩০০/৪০০ টাকা। আবার ট্রেনে কোনো যানজট ও নেই।
অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকদের ভাষ্য একই।’
দিনাজপুর রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বলেন, ‘২০ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ গাড়ির সিট ফাঁকা আছে।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট কাটা সরকার এবার সহজ করে দিয়েছে। কাউন্টারে গিয়ে লাইন দিতে হচ্ছে না। মানুষ ঘরে বসে অল্প টাকায় টিকিট পাচ্ছে তাই অধিকাংশ মানুষ এবার বাসের টিকিট কাটছে না। আর যারা কাটছে তারা কাউন্টারে আসছে না অনলাইন থেকে টিকিট নিয়ে নিচ্ছে।’
এদিকে এস আলম পরিবহনের কাউন্টারে টিকিটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদযাত্রায় প্রতিদিনের গাড়িতেই এখনো আসন ফাঁকা বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২২ এপ্রিল (শনিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হবে ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে। আগামী ১৯ এপ্রিল (বুধবার) শবেকদরের সরকারি ছুটি। সেই হিসেবে ১৯ থেকে ২১ এপ্রিলের বাসের টিকিটের চাহিদা থাকবে সবচেয়ে বেশি।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/কেআর/এফএ)